চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দেশকে ভালোবাসার আহ্বানের মধ্যদিয়ে মুজিববর্ষের উদ্বোধন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী- মুজিববর্ষের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন: দেশের ভিতরে এবং বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশের সকল নাগরিককে জানাই মুজিববর্ষের শুভেচ্ছা। একইসঙ্গে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি বিশ্ববাসীকে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তবে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: আজকের শিশু-কিশোর, তরুণ সমাজের কাছে আমার আবেদন, তোমরা দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালবাসবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, আমি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে আমি মুজিববর্ষের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।

মঙ্গলবার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণের শুরুতে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা।

তিনি বলেন: আমার নিজের এবং ছোটবোন শেখ রেহানা’র পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বাংলাদেশের সকল বয়সের এবং শ্রেণি-পেশার মানুষকে। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি বঙ্গবন্ধু উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের মর্যাদা। তাইতো তিনি আমাদের জাতির পিতা।

এসময় তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন: আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। গড়তে হবে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে তোমাদের নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। ঠিক যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে ভালোবেসেছিলেন, সেভাবেই ভালোবাসতে হবে। তার আদর্শে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

এসময় তিনি ভোট দিয়ে টানা তিনবার আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের প্রতি। আমরা মুজিববর্ষ পালনের সুযোগ পেয়েছি। এ যে আমাদের জীবনে কত বড় পাওয়া, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই দেশবাসীর প্রতি যারা আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পরপর তিনবার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন।

এছাড়াও কৃতজ্ঞতা জানান বিশ্বনেতাদের, যারা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তাদের স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন: করোনা ভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিদেশি অতিথিবৃন্দের সফর স্থগিত করা হয়েছে। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নমগেয়েল ওয়াংচুক, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতিসংঘের মহাসচিব এন্টোনিও গুতেরেস এবং ওআইসি’র মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিনসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি শুভাকাক্ষী ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি তাদের ব্যক্তিগতভাবে এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন: আজ থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপন করা হবে। ২০২১ সালে উদযাপন হবে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন বন্ধুপ্রতীম দেশ, ইউনেসকো, ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মুজিববর্ষ উদযাপনে অংশীদার হয়েছে। সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।