জার্মানভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে ৫টি স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় রাখার বিষয়কে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান।
বিবিসি বাংলায় ওই তালিকা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যানের মতে, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মুক্তচিন্তা প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ, দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ওপর গুম-খুন এবং অসংখ্য মামলা হামলার মাধ্যমে জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা শাসনের কারণেই এই স্বৈরতান্ত্রিকতার উন্মেষ।’’
‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনী নাটক করে যেভাবে দেশের গণতান্ত্রিক মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে তারই প্রতিফলন হলো জার্মান ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ফলাফল। এটি একটি স্বাধীন দেশের জন্য দুর্ভাগ্যই বলতে হয়। এই পরিস্থিতিকে আরো বেশি নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রাখার মাধ্যমে’, বলেন অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান।
তিনি বলেন: ‘কঠিন এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই প্রয়োজন। একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার দিকে যেতে না পারলে আগামীতে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’