দুর্নীতির টাকা জঙ্গিবাদের অর্থায়নে ব্যয় হয় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান। দুদকের সঙ্গে মতবিনিময়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সংস্থাকে আরো স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার সুপারিশ করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও পদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় উঠে আসে সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদের বিষয়ও।
প্রশ্নের উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বললেন, দুর্নীতির অর্থ জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহার হয়। অপ্রদর্শিত অর্থ আর কালো টাকা দুর্নীতির একটা বিশাল গহ্বর। এর ব্যাপারে আমরা একটা সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা সরকারকে দিতে চাই।
দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার বিষয়ে বেশকিছু উদ্যোগের সুপারিশ করেন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা।
দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদক গোলাম সারোয়ার বলেন, আমি জানি না দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল সম্পদ জঙ্গিবাদে যায় কিনা। বর্তমান নিষ্ঠুর বাস্তবতায় এটা আমাদের মনে রাখা দরকার।
কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, সারা দেশের স্কুল কলেজগুলোতে এই কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার জায়গাটিতেই সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া উচিত।
চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, পারিবারিকভাবেই পাঠ করা হয় এমন যে পত্রিকাগুলো রয়েছে; সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক পত্রিকাগুলোর সাথে একই মোড়কে পত্রিকাগুলো আপনারা বিনামূল্যে দিয়ে দিলে তা অনেকের চোখে পড়বে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, দুর্নীতির চেইনটা যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনারা ভাঙ্গতে না পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত একটা আশানুরূপ ফল আমরা পাবো বলে মনে করিনা।
স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য দুদকের সামর্থ্য বাড়ানোর ওপরও জোর দিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।