চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

দক্ষিণাঞ্চলে প্রচারণার সঙ্গে বাড়ছে সহিংসতা

দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একদিকে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা, অন্যদিকে বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতা। প্রায় সব ইউনিয়নে রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। অনেক জায়গায় সরকারী দলের প্রভাবে বিএনপি কোণঠাসা থাকলেও নিয়ন্ত্রণহীন বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে বেকায়দায় আওয়ামী লীগ।

প্রথম দফা ৭৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে সব থেকে বেশী ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে বরিশাল অঞ্চলে। বিভাগের ৬ জেলার ২৭১টি ইউনিয়নে চলছে রাত দিনের প্রচারণা। এ অঞ্চলে মোহনাপাড়ের পটুয়াখালী যার ৫০টি ইউনিয়নে চলছে নির্বাচনী প্রচার উৎসব।

জেলার দুগর্ম এক থানা রাঙ্গাবালী, তারই এক প্রত্যন্ত চরের ইউনিয়ন ছোটবাইশদিয়া। এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন। লড়াই মূলত জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলছেন, আমার টাকা কম, লাঙ্গল প্রতীকের টাকা অনেক বেশি, সে সন্ত্রাস বাহিনী তৈরি করছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী জানায়, সরকারী দল মাঠে তাদের ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে।

বিচ্ছিন্ন আরেক দ্বীপ গলাচিপার চরবিশ্বাস। ভোটার প্রায় ১৬ হাজার। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দুইজন। প্রচারণার কমতি না থাকলেও মারমুখী অবস্থানে চরবিশ্বাসের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আর বিদ্রোহীরা।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী বলেন, প্রথমত যারা বিদ্রোহী প্রার্থী তারা কেউই স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না তারা ঢাকাপন্থী রাজনীতি করে। সে ক্ষেত্রে তারা এলাকায় বেশি সাড়া পাবে না। আর বিএনপির ভোট হল মাইনাস বিশ শতাংশ। তারা আমাদের কাছে কোন ফ্যাক্টর না।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বলেন, অবশ্যয় আমি আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ আমি না তবে আমি জনগণের মনোনীত প্রার্থী। জনগণের ভোট যদি কেউ ডাকাতি করার চেষ্টা করে তবে জনগণ তাদের হাত কিভাবে ভেঙ্গে দিবে তা ২২ তারিখের নির্বাচনেই দেখা যাবে।

আছে বিএনপি প্রার্থীও। তবে তার দাবি, ইচ্ছা থাকলেও ভোটারদের কাছে যাবার সুযোগ নেই তার। ধানের শীষের প্রার্থী সরকারী দলের দিকে সন্দেহের তীর ছেড়ে বলেন, এলাকা ও শহরের বিএনপির অফিস তছনছ করে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।

প্রত্যন্ত জনপদে প্রশাসনের উপর আস্থাই শেষ ভরসার জায়গা হলেও ভরসা রাখতে পারছেন না অনেক ভোটার।