দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এমন আশ্বাসে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে এসেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্য জানিয়েছেন তদন্তের মাধ্যমে তথ্য বিকৃতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে।
ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার দায়দায়িত্ব স্বীকার করে উপাচার্যকে রাত ৮ টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় তারা। তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয় উপাচার্যের বাসভনের মূল ফটকে। রাতে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিত করে ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির পরে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের একে একে সবাইকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং ইন্ধনদাতা কেউ থাকলে তাদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানায় বৈঠকে অংশ নেয়া প্রতিনিধি দল ।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই আমাদের দাবি ছিল। আমাদের কোনো কর্মসূচী নেই, আপাতত এখানেই শেষ।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরনিকায় জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘ প্রথম রাষ্ট্রপতি’ উল্লেখ করা হয়েছে। সকালে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানে বিলি করা স্মরণিকায় বিকৃত এ তথ্য দেখে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের গাড়ি ভাংচুর করে। স্মরনিকার তথ্য বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীরা। জরুরি বৈঠকে বসেন উপাচার্য। অব্যাহতি দেয়া হয় প্রকাশনার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমানকে।