নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএতে ড্রাইভিং ও ফিটনেস সনদ নেয়ার হিড়িক পড়েছে। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, এখানে অনিয়ম আছে আগের মতোই।
এসব অনিয়মের কথাগুলো মিরপুরে বিআরটিএ সীমানার মধ্যে ঢুকলেই চোখে পড়বে। তবে নাগরিক সেবা সনদ আর বাস্তবতার চিত্রে পার্থক্য যে অনেক সেই অভিযোগ পুরনো। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা বোঝার জন্য এক কর্মদিবস বিআরটিএতে অবস্থান।
দেখা গেলো, গাড়ির লাইসেন্সের জন্য ফর্ম নেবার লাইন তৈরি হয়েছে সেখানে। বাচ্চারা যে বড়সড় একটা ধাক্কা দিয়েছে সে কথা বললেন অনেকে।
কর্মকর্তারাও বলছেন, আগে যেখানে সারাদিনে ১শর মতো গাড়ির লাইসেন্স নবায়ন ফর্ম বিক্রি হতো, এখন সেই সংখ্যা চারগুণ। তবে, লাইসেন্স পাবার কাউন্টারে গিয়ে জানা গেলো, ভোগান্তির নানাদিক।
অন্যপাশে চলছে ভারি যানবাহনের ফিটনেস চেকিং। বৈধ কারণে ফিটনেস বাতিল হলেও গাড়িগুলো কোন শক্তিতে রাস্তায় নামতে পারে সেই প্রশ্ন ফিটনেস বাতিল কর্তৃপক্ষের। বিআরটিএ মানেই দালালদের রাজত্ব, এমন অভিযোগ অনেকের। তবে, কর্মকর্তাদের কণ্ঠে যথারীতি অন্যকথা।
উপ-পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পর নীচে নেমে আনসার বাহিনীর কাছ থেকে জানা গেলো, প্রতিদিন সাত আটজন দালাল ধরছেন তারা। দালালের খপ্পরে পড়ে ৭০ হাজার টাকা খুইয়েছেন এমন একজনকে পাওয়া গেলো সেখানে।
পরিস্থিতির উন্নতিতে কাজ চলছে জানিয়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রশিক্ষিত চালকের বাইরে যাতে কেউ লাইসেন্স না পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ চলছে।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: