ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও মুমিনুল হক আউট হয়েছেন ১৬১ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারে আগেও দু’বার ঘুরে এসেছেন ডাবলের নিকট থেকে। ১৮১ ও ১৭৬তে ফিরেছিলেন। তিনবার দেড়শ পার করলেও ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পাননি এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
মুমিনুলের তাতে আক্ষেপ নেই। দলের জন্য তার ইনিংস কতটা কাজে লাগল সেটি নিয়েই ভাবনা তার। কবে হবে ডাবল সেঞ্চুরি? প্রশ্নটা যখন সরাসরি তখন মুমিনুল কৌশলী, ‘এটা যত পরে হবে আমার ক্ষিধেটা তত বাড়বে। হয়ে গেলে তখন ক্ষিধেটা তো মিটে গেল।’
রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল। বলের মুভমেন্ট ও বাউন্সের তারতম্যের মাঝে খেলে যান অবিচল। উইকেট বিবেচনায় এদিনের ব্যাটিং রাখছেন সেরা ইনিংসের কাতারে।
‘আমি এই সেঞ্চুরিতে অনেক শিখতে পেরেছি। আমার যতগুলো সেঞ্চুরি আছে, এরমধ্যে এটা বেশ ইন্টারেস্টিং। কারণ অনেক কষ্ট করে ব্যাট করেছি। যতক্ষণ ব্যাট করেছি কষ্ট করে ব্যাট করেছি। অন্যগুলার চেয়ে এটা অনেক কঠিন ছিল।’
‘উইকেটে বাউন্স একরকম ছিল না। উঁচুনিচু হচ্ছিল। আর প্রথমেই যদি তিন উইকেট পড়ে যায়, তাহলে আপনার চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।’
মুমিনুল-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ১১১ রানে মুশফিকের অপরাজিত থাকা আশা দেখাচ্ছে বড় সংগ্রহের। মুমিনুল মনে করেন বাংলাদেশ পার করবে চারশোর গণ্ডি। তাতে বোলাররাও পাবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।
‘মুশফিক ভাই ব্যাট করছে, রিয়াদ ভাই আছে, নিচে আরিফুল আছে। আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা ভালো অবস্থানটা কাজে লাগাবে। বোলারদের উপর আমাদের খুব আত্মবিশ্বাস আছে, তারা ভালো করবে। বিশেষ করে স্পিনাররা।’