রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে র্যাব।
দুবাই বসে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেছে সন্ত্রাসী মুসা। তার সাথে বিদেশে অবস্থানরত আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
এ হত্যাকাণ্ডে আটক করা হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক, সন্ত্রাসী কাইল্লা পলাশ, কিলার নাসির ও শ্যুটার সালেহকে। এলাকায় আধিপত্য ছাড়াও বোচাঁবাবু হত্যা মামলা এড়াতে টিপুকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে তারা।
আওয়ামী লীগ নেতা টিপুর খবরদারির কারণে বোচাঁবাবু হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল প্রধান আসামি নাসিরসহ অন্যদের। টিপুকে বিরত থাকতে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে চাপ সৃষ্টির পরেও কাজ না হওয়ায় হত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
গত ২৪ মার্চ রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি ছোড়া গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি নিহত হন।
রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে খিলগাঁও রেলগেটের সিগন্যালের জন্য জাহিদুল ইসলাম টিপুর গাড়িটি রেলগেটের কাছাকাছি বাটার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তের এলাপাতাড়ি গুলি। গুলিবিদ্ধ টিপুকে প্রথমে শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাগুলির ঘটনার সময়ে পাশ দিয়ে যাওয়া রিকশা আরোহী কলেজ ছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।