টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানী এক কিশোরী ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্তের মা’কে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে বুধবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আল-আমিন, তার বাবা আনোয়র হোসেন ও মা আনোয়ারার নাম উল্লেখসহ পাঁচ জনের নামে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলার আসামি আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
পরে বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে অপহরণের স্বীকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী ভ্রমণ ভিসা নিয়ে মায়ের সাথে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাই ওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন: উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচীতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেছিলেন হুমায়ুন। পাঁচ মাস আগে হুমায়ুনের স্ত্রী পাকিস্তানী নাগরিক নীলুফার বেগম ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন।
‘‘গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় আল আমিন তার চাচা আব্দুল ওয়াদুদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আল আমিনের মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’’