চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাঙ্গাইলে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে রিশাদ মিয়া (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রিশাদ মিয়া সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের মো. মফিজ মিয়ার ছেলে। 
র‌্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সদর উপজেলার বড় বেলতা এলাকায় ট্রাক্টর চালাতে গিয়ে সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে দেখেন রিশাদ মিয়া। প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় রিশাদ মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মেয়ের মা টাঙ্গাইল সদর থানা ও র‌্যাব কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়। পরে র‌্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে। র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা, অনুসন্ধান ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে যে, ভিকটিম ও অপহরণকারীরা সখিপুর উপজেলায় অবস্থান করছে। অপহরণকারীরা ভিকটিমকে নিয়ে বার বার স্থান পরিবর্তন করে। বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি ঘরের ভিতরে ভিকটিমকে হাত, পা, মুখ বাঁধা ও অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত দুই টার দিকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল এলাকা থেকে রিশাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোম্পানি কমান্ডার আরও জানান, অপহরণের পর মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে সিএনজি যোগে সখিপুরের দুর্গম নির্জন পাহাড়ি এলাকায় রিশাদ মিয়া এক পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম যাতে পালাতে না পারে সেজন্য হাত ও পা বেঁধে দরজা বন্ধ করে আটকে রাখে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন তাদের খুঁজে বের করতে না পারে তাই বার বার সখিপুর, মধুপুর ও সদরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান পরিবর্তন করে। অবস্থান পরিবর্তনের সময় ভিকটিমের চোখ ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে রাখা হত যাতে ভিকটিম অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারে।
ধর্ষক রিশাদ মিয়া একজন ট্রাক্টর চালক। এর আগেও তিনি দুটি বিয়ে করেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই বাদি হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামীকে টাঙ্গাইল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান র‌্যাব কমান্ডার ।