রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ের কাছে সুন্দরবন হোটেলের পাশে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে একটি নির্মাণাধীন ভবন টুইন টাওয়ারের পাইলিংয়ের জন্য খোড়া গর্তে ওই সড়কের কিছু অংশ ও সুন্দর বন হোটেলের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘটে যাওয়া এই দূর্ঘটনায় সুন্দরবন হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে । ভবনের আশপাশ এবং ঝুঁকিতে থাকা সুন্দরবন হোটেল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সুন্দরবন হোটেলের জিএম মো: ওয়াজেদ আলী বলেন, হোটেলের অতিথিদের তারা সরিয়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ তাদের নিজের দায়িত্বে চলে গেছেন। নিরাপত্তার জন্য হোটেল স্টাফরাও বাহিরে চলে এসেছে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান ঢাকার দুই মেয়র এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য। এই ঘটনার জন্য রাজউক আর নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকেই দায়ী করেন তারা।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, তারা এখন দেখবেন এখান থেকে যেনো কোনো সমস্যা না হয়। পাশের বিল্ডিংগুলো খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস বলেন, সোনারগাঁ রাস্তাকে তারা দখল মুক্ত করে রাস্তা নির্মাণ করেছেন।
এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তোপের মুখে পড়ে রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়রাম্যান আব্দুর রহমান বলেন, যারা এসব ভবন নির্মাণ করছেন তারা যদি খারাপভাবে নির্মাণ করেন তাহলে নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা করতে হবে। রাজউকের বিধি বিধানমত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের প্রতিনিধিরা এর মধ্যেই বালুর বস্তা ফেলার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন।
রাজউক, ফায়ার ব্রিগেড, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসাসহ প্রতিটি বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। কোরিয়ান একটি কোম্পানির সঙ্গে এ্ই ভবনটি নির্মাণ কাজ করছিল এম এস কন্সট্রাকশন। বৈঠকে কোম্পানির সিইও নির্মাণ কাজের ত্রুটির কথা অস্বীকার করেন।
বালু দিয়ে জায়গা ভরাটের কথা বলে আনিসুল হক জানান, ভবনটি পরিকল্পিত না অপরিকল্পিত তা আমি জানিনা। যদি অপরিকল্পিত হয় তাহলে এর কিছু দায় নির্মাণকারীদের নিতেই হবে।এই বৈঠকের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন আনিসুল হক।