চট্টগ্রাম থেকে: অনুশীলনের শুরুতেই মাহমুদুল হাসান জয়কে নেটে ব্যাট করতে পাঠান রাসেল ডমিঙ্গো। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণি সামলাতে তেমন বেগ পেতে হয়নি তরুণ ব্যাটারের। নেটে চোখ রেখেছিলেন টাইগারদের হেড কোচ। ডমিঙ্গো পরে জয়কে পেস সামলাতে পাঠান জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উল্টো দিকের নেটে।
সেখানে জয়কে বল ছোড়েন দুই থ্রোয়ার। শুরুতে একটু জড়তা থাকলেও মানিয়ে নেন দ্রুতই। জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পাওয়া তরুণের ব্যাটিং ঘিরে ঢাকা থেকে আসা ক্রীড়া সাংবাদিকদেরও ছিল বেশ মনোযোগ।
জয়কে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলানো হবে কিনা সেটি বলার সময় এখনও আসেনি। অনুশীলনে তাকে ঘিরে কোচদের পাখির-চোখ করা ও ব্যাটিং করার জন্য বেশি সময় দেয়া দেখে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে।
ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশলে প্রিন্সও জয়কে থ্রোয়ারে বল ছুঁড়েছেন। টানা বল খেলার মধ্যে ছিলেন সম্ভাবনাময় তরুণ। জাতীয় লিগে টানা দুই সেঞ্চুরি করে জয় সরাসরি চলে আসেন টেস্ট দলে। দেখে মনে হয়নি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এ খেলোয়াড়ের জাতীয় দলের কোচদের অধীনে প্রথম অনুশীলন এটি।
টেস্ট দলে ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে জয় বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আসলে এই অনুভূতিটা প্রকাশ করার মতো না। সবারই স্বপ্ন থাকে টেস্ট স্কোয়াডে চান্স পাওয়ার। প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছি। অনেক খুশি।’
‘হ্যাঁ, জাতীয় লিগে বেশ কয়েকটি ইনিংস ভালো খেলেছি। আমার আত্মবিশ্বাস এখন ভালো আছে। তার আগে এইচপি ও ‘এ’ টিমের প্রস্তুতি ম্যাচেও ভালো একটা ইনিংস খেলেছি। তাই প্রস্তুত আছি, সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো খেলার জন্য।’
‘আসলে তেমন কোনো আলাদা পরিকল্পনা নেই। সুযোগ পেলে আমার স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করবো।’ যোগ করেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য জয়।