জেরুজালেম ইস্যুতে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরপরই স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাত থেকে ফিলিস্তিনের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ইসরাইলের নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জেরুজালেম শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়াতে গাজা উপত্যকা ও বেথেলহাম শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি এবং কুশপুত্তলিক পোড়ানো হয়েছে। শুধু স্থানীয়ভাবে না, জেরুজালেম ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির পর বিশ্বজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। তার এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা। সমস্যা সমাধানে আলোচনার কথা বলেছেন তারা। মুসলিম বিশ্বসহ বিশ্বনেতারা এর সমালোচনা ও বিরোধিতা শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশও ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন: ‘এ বিষয়ে জাতিসংঘের রেজুলেশন রয়েছে। আমার মনে হয় না ট্রাম্পের এ উদ্যোগকে কেউ স্বাগত জানাবে। ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইস্ট জেরুজালেম ফিলিস্তিনির রাজধানী। যে যুক্তরাষ্ট্র এক সময় এ অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করে নোবেল নিলো; তারাই এখন অস্থিতিশীলতা শুরু করছে। আমি এ ইস্যুতে মুসলিম উম্মাকে এ হওয়ার আহ্বান জানাবো।’ প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের এই অবস্থান খুবই যৌক্তিক বলে আমরা মনে করি। সারাবিশ্বের শান্তি-সম্প্রীতির জন্য তৈরি জাতিসংঘের কোনো সিদ্ধান্ত কোনো দেশ লঙ্ঘন করতে পারে না, সে দেশ যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেনো। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরণের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ সারা বিশ্বের অন্যান্য ক্ষমতাধর দেশগুলোকে ‘দাদাগিরি’ করতে উৎসাহিত করবে, যা বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি। ট্রাম্পের এই ঘোষণা যেনো নতুন করে কোনো যুদ্ধাবস্থা তৈরি না করে, সেজন্য বিশ্বনেতাদের ঐক্য কামনা করছি।