নাগরিকদের জীবনমান বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশ অনেকখানি পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ডেটাসেইস প্লাটফর্ম ‘নাম্বিও’।
২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময় বিবেচনায় তারা বলছে: জীবনমান, ক্রয়ক্ষমতা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবযাত্রার ব্যয়, উপার্জনের বিপরীতে সম্পদের মূল্য, যানজট, জনসংখ্যা এবং পরিবেশ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত-পকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবনমান নিম্মমুখী। বিশ্বের মোট ৮৩টি দেশের এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তে। আর ভারত ৬৫, পাকিস্তান ৬৬ এবং শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৮০তে।
নাম্বিও তাদের পরিসংখ্যানে দেখিয়েছে: ভারতের নাগরিকদের ইনডেক্স পয়েন্ট যেখানে ১০৩, পাকিস্তানের ১০২.১৫ ও শ্রীলঙ্কার ৬৩.৬০; সেখানে বাংলাদেশের ৬৪.৫৪। ক্রয়ক্ষমতায়ও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ইনডেক্সে দেখানো হয়েছে ভারতের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ৪২.১৬, পাকিস্তানের ২৪.৫৬, শ্রীলঙ্কার ১৮.৪৩; বিপরীতে বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ইনডেক্স ২১.৭৬। নিরাপত্তা ইনডেক্সে ভারতের সক্ষমতা ৫৫.৫৭, পাকিস্তানের ৫৭.৪৯, শ্রীলঙ্কার ৫০.৬২ আর পিছিয়ে থাকা বাংলাদের নাগরিকদের সক্ষমতা ৩৬.১০।
করোনা মহামারির এ সময়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলো স্বাস্থ্যসেবা খাত। সেখানেও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। যদিও স্বাস্থ্যসেবায় ভারত-পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। সেখানে দেশটির ইনডেক্স ৭২.৭২।ভারত এবং পাকিস্তানের ইনডেক্স পয়েন্ট ৬৫.৮৩ ও ৬০.০৪, আর বাংলাদেশের নিম্নমুখি গ্রাফ আটকে আছে ৪২.২২ এ।
আবার দক্ষিণ এশিয়ার ওইসব দেশের তুলনায় জীবনযাত্রার ব্যয় বাংলাদেশে বেশি।
জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে নাম্বিও’র এ তালিকায় শীর্ষ তিন দেশ হলো সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ড। শীর্ষ দেশে স্থান হয়নি এশিয়ার কোন দেশের। ১৪তম দেশ হিসেবে এশিয়ায় সবার আগে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এর এক ধাপ পেছনে ১৬তম স্থানে জাপান আর সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৭তে।