বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ বলেছেন: জিয়াসহ অনেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো।
আমাদের বিদ্যমান আইনে মরণোত্তর বিচারের ব্যাবস্থা না থাকায় তাদের বিচার সম্ভব হয়নি। এই সুযোগ নিয়ে একটি দল রাজনীতির মাঠে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমি বলবো, বিচার করা সম্ভব না হলেও, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এদের পরিচয় জাতির সামনে আনা হোক। এদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করা হোক।
শনিবার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে হানিফ এ কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন: পাকিস্তানি ভাবধারায় প্রতিষ্ঠিত একটি চক্র স্বাধীনতার পর থেকে দেশকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এ চক্রের মূল হোতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যে এ প্রমাণ মিলেছে।
জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরষ্কৃত করেছে। তাদের রাষ্ট্রদূত করা হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত দল খুনিদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছে।
এখন সেই দল ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্ঠা করছে। রাজনীতির মাঠে ব্যর্থ হয়ে চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্ঠা করছে। তাই, এখন সময় এসেছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করার।
বলবো, আবারও বঙ্গবন্ধু হত্যার পুনঃতদন্ত করা হোক। মৃত্যুর কারণে যাদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তাদের পরিচয় জাতির সামনে তুলে ধরা হোক।
ষোড়শ সংশোধনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন: অনেক দিন পর বিএনপিকে আবারও উজ্জ্বীবিত দেখা যাচ্ছে। তাদের অতি উৎসাহিত হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। প্রধান বিচারপতি এরই মধ্যে পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন। তাই তিনি পরশু সাংবাদিক ভাইদের মিস কোড না করা জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। দেশবাসী কি চায় বুঝতে পেরেই এ বক্তব্য দিয়েছেন।
ঢাকা ১০ আসনের সাংসদ ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ফজলে নূর তাপস বলেন: ‘ড. কামাল হোসেন-মাহমুদুর রহমান মান্নার মতো ব্যক্তিরা ষোড়শ সংশোধনীর বিতর্কের সুযোগে আবারও ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতছে। তিনি আরো বলেন, আবারও ক্ষমতার বড় চেয়ার বাগিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে। তাদেরকে আবারও সতর্ক করে দিতে চাই। সুশীলের লেবাস পরে আপনারা যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের ছেড়ে দেবে না।’