চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর পর নববর্ষ উদযাপন

ইমন ইসলাম; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: করোনা মহামারীর কারণে থমকে থাকায় দুই বছর পরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উদযাপিত হয়েছে “বর্ষবরণ উৎসব -১৪২৯”।

পয়লা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। চাওয়া পাওয়া আর আশা-নিরাশাগুলো পেছনে ফেলে আরো একটি বছর কালের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ায় ১৪২৯ সালের শুভ আগমনে নতুন প্রভাতের সূচনা ঘটলো। আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সেজে উঠেছে পুরো ক্যাম্পাস।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় “মানুষে মানুষে সম্প্রীতি বয়ে যাক, প্রকৃতি ও প্রত্যয়ে এসো হে বৈশাখ” শ্লোগানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলমের নেতৃত্বে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি পুরাতন কলা ভবনের সামনে অবস্থিত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।

মঙ্গল শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের নানা অনুষঙ্গের প্রতিচ্ছবি সাপ, ময়ুর, হাতপাখা, মাছ, প্রজাপতি, লোকজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে পালকি, ঘোড়া, হাতি, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনসহ বাঘ ও প্যাঁচার ছোট-বড় হরেক রঙের বিভিন্ন মুখোশ ফুটিয়ে তোলা হয়।


এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে দিবসটি উপলক্ষে উপাচার্য সকাল নয়টায় শিক্ষক ক্লাবে ক্যাম্পাসবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য বলেন, বাঙালির বাঙালিত্বে বাংলা নববর্ষের উৎসব অনন্য স্থান দখল করে আছে। বিশ্বে এখন বাঙালি সংস্কৃতি বিশেষ মর্যাদার স্থান লাভ করেছে। এসময় সবার জন্য সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণময় জীবন কামনা করেন উপাচার্য।

বর্ষবরণ উপলক্ষে বেলা ১১টায় নতুন কলা ভবনের সামনের মহুয়া তলায় বাংলা বিভাগের আয়োজনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।