ইসলামের নাম ভাঙ্গানো জঙ্গিরা বাংলাদেশে প্রথম তাদের অবস্থান জানান দেয় রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানে। তারপর আরও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। জঙ্গিবাদের আরেক উত্থান দেখতে পাই রাজশাহী অঞ্চলে বাংলা ভাইদের তাণ্ডবের মাঝে। ভিন্নমতের মানুষ মেরে তারা গাছে ঝুলিয়ে রাখত। এদেরকে তৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যপক সমর্থন দিয়েছিল। রাজশাহীর রাজপথে মিছিল সহকারে কয়েকশ জঙ্গির প্রকাশ্য আস্ফালন তৎকালীন পুলিশ প্রশাসন পাহারা দিয়েছে।
জঙ্গিবাদের আরেক রূপ দেখতে পাই দেশজুড়ে একই সময়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায়। এর মাধ্যমে তারা দেশবাসীকে জানান দেয় তাদের শক্তিশালী অস্তিত্বের। ঘোষণা দেয় ইসলামী শাসনতন্ত্র কায়েমের। জামায়াত-বিএনপি শাসনামলে একই সময়ে বাংলা ভাই, দেশজুড়ে বোমাহামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ১০ ট্রাক অস্ত্র সরবরাহ, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আবিষ্কার ইত্যাদি ঘটনায় জঙ্গিদের শক্তিশালী অবস্থানের প্রমাণ দেয়।
সে সরকারের শিল্পমন্ত্রী, ‘৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ট্রাইবুন্যালে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত রাজাকার মতিউর রহমান নিজামি পাহাড়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খবরকে চাপা দেয়ার জন্য বলেছিলেন – এসব মিডিয়ার সৃষ্টি।মিডিয়ার সৃষ্টি বলে পার পায়নি জামায়াত-বিএনপি জোট সরকার।
পশ্চিমাদের চাপে তারা কিছু লোক দেখানো জঙ্গি দমন তৎপরতা দেখায় – বাংলা ভাই ও তার বসকে গ্রেফতার করে। বিভিন্ন সময়ে মিডিয়া জঙ্গিদের প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে যেসব রিপোর্ট করেছে তাতে জানা যায় এই জঙ্গিদের বেশির ভাগই প্রাক্তন কিংবা বর্তমান জামায়াত সদস্য এবং তাদের দ্বারা নিয়োগকৃত। এছাড়াও কিছু জঙ্গি আছে যারা সরাসরি জামায়াত সদস্য না হলেও আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত। জামায়াতও এসব আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর পাকিস্থানী আল-কায়েদা, তালেবানসহ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশ আক্রমণ করার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে আহবান জানায়। এদের দাবী পাকিস্তানি রাজনীতিতে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে সেদেশের পার্লামেণ্ট বাংলাদেশের প্রতি নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে বাধ্য হয়েছে। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামান, মুজাহিদ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং নিজামীর দণ্ড কার্যকর করা হলে ফুঁসে ওঠে পাকিস্তানী জঙ্গিরা এবং তাদের জঙ্গি সমর্থিত সরকার।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দেয়া শুরু হলে ২০১৩ সালে জঙ্গিরা তাদের পৃষ্টপোষকদের রক্ষায় মাঠে নামে। দেশে যতগুলো জঙ্গি গ্রুপ রয়েছে তারা সকলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যবস্থা বানচাল করতে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করে। একেকটা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণা হয় আর তারা দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যা, ধ্বংস, নাশকতা চালায়। অরাজকতার মাত্রা বাড়াতে ধ্বংস করা হয় শহীদ মিনার, ভেঙ্গে ফেলা হয় হিন্দুদের শত শত বিগ্রহ, মন্দির। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জ্বালিয়ে দেয়া হয় আওয়ামী লীগ এবং হিন্দুদের বাড়ি ঘর। যেমনটা করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়।
এসব ঘটনাকে রাজনৈতিক কাভার দেয়া হয় দুইভাবেঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য জামায়াত ঘোষণা করে গৃহযুদ্ধ আর বিএনপি তোলে ত্বত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী। একই জোটে অন্তর্ভুক্ত দল দুটি একে ওপরের ঘোষিত কর্মসূচিতে সমর্থন দিতে থাকে। কখনো কখনো জোটের ব্যানারে ধ্বংসাত্বক কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়া হয়। জঙ্গিরা জামায়াত-বিএনপির ছত্রছায়ায় হত্যা-ধ্বংস চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে তালেবানী স্টাইল ইসলামিক প্রজাতন্ত্র গঠনের কাজ শুরু করে। এর রূপরেখা প্রণয়ন করে প্রচার করে ফেসবুক পেজ বাশেরকেল্লায়। এরা সেই কল্পিত দেশের নাম দেয় ‘বাংলাস্তান’।
২০১৩ সালের ২৬শে মার্চ ইসলামী ছাত্র শিবির বাংলাস্তানের পতাকা ওড়ায় ৩০ লক্ষ প্রাণের দামে কেনা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে। জঙ্গিবাদের পরবর্তি অধ্যায় রচিত হয় ২০১৫ সালে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনকে অবৈধ আখ্যায়িত করে সে নির্বাচন বাতিলের দাবীর আড়ালে আবার চেষ্টা করা হয় জঙ্গিবাদের উত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে বাংলাস্তান কায়েমের। ৬ জানুয়ারী ২০১৫ থেকে টানা ৯২ দিন হরতাল ও অবরোধের নামে চালানো হয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। বাস-ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়ে, চলন্ত যানবাহনে পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে অঙ্গার করা হয়। ১৪২ জন মানুষের জীবন কেড়ে নেয় জঙ্গিদের পেট্রোল বোমা; আজীবন পোড়া শরীর নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে আরও কয়েকশ মানুষকে।
২০১৩ সালে দেশে যে ব্যাপক জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল এবং সরকার পতনের দাবীতে ২০১৫ সালের শুরু থেকে টানা তিন মাস যে পেট্রোল বোমা আন্দোলন হয়েছে তা কঠোর হস্তে দমন করেছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ কাজে আওয়ামী লীগ সমর্থন পেয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান প্রগতিশীল মানুষদের কাছ থেকে।
৫ মে ২০১৩ তারিখে দমন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের মধ্যযুগীয় বর্বর এবং ধ্বংসাত্বক মৌলবাদী অভ্যুত্থান। জামায়াত-বিএনপি’র এই ব্যপক জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড দমন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই দমন কার্য চালাতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের সমর্থকদের, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এবং বহু পুলিশ, র্যাব, ও বিজিবি সদস্যকে; পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছেন অনেকে। এখনো প্রায় প্রতিদিন পুলিশ, র্যাব কোথাও না কোথাও জঙ্গি আস্তানায় হানা দেয় – ধরে নিয়ে আসে অস্ত্র, গোলা-বারুদ, পেট্রোল বোমাসহ জঙ্গিদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অবিরাম যাত্রা আর কিছু দিন চললে জঙ্গিমাতা এবং তার ছানা-পোনারা নির্মূল হবে। দেশ এবং বিদেশের টেরর ফাইন্যান্সিং এর পথ রুদ্ধ হওয়ায় ইতোমধ্যেই জঙ্গিদের পকেটে টান পড়েছে। ব্যাংক ডাকাতি করে তারা অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। সে চেষ্টাও নস্যাৎ হয়েছে।
২০১৩ এবং ২০১৫ সালের জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে জঙ্গিরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং জাতীয় আলোচনায় নিজেদের এজেণ্ডা অন্তর্ভুক্ত করার উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে চাপাতি দিয়ে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, ভিন্নমতের মানুষ হত্যা। সে চেষ্টা চলছে। এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৩৪টি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্তাধীন বা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলার রায় হয়েছে।কয়েকদিন পর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি কেন্দ্র আবিষ্কার করছে, অস্ত্রশস্ত্র এবং জঙ্গি গ্রেফতার করছে। কয়েকজনকে চাপাতি দিয়ে খুন করায় তারা জাতীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে ঠিকই কিন্তু সে আলোচনা তাদের পক্ষে নয় বিপক্ষে গিয়েছে। তারা ব্যপকভাবে নিন্দিত হয়েছে।
সমাজের অবিভাবকেরাঃ বুদ্ধিজীবীরা, ইসলামী চিন্তাবিদেরা এসব হত্যাকাণ্ডকে ধিক্কার দিয়েছেন। জঙ্গি দমনের জন্য সর্বস্তরের জনগণ সোচ্চার হচ্ছে। স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা জঙ্গিবাদের জন্য জামায়াত-বিএনপিকেই দায়ী করছে। জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি হত্যা, ধ্বংস আর মানুষ পোড়ানোর দায়ে দায়ী। এত হত্যা, এত মানুষ পোড়ানো এদেশের মানুষ স্বাধীনতার পর আর কখনো দেখেনি। পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে রাজনৈতিক দাবী আদায় করা যায় না; অরাজকতা কায়েম করা যায়। জামায়াত-বিএনপি’র ধ্বংসাত্বক রাজনীতি এদেশের মানুষ গ্রহণ করেনি। তারা এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। বিএনপি ভাঙ্গার সম্ভাবনার খবর, দূর্বল হওয়ার খবর এখন প্রতিটি পত্রিকার পাতায় পাতায়। জামায়াতের ভাগ্য আদালতে বিচারাধীন। আগামী সংসদে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন নিষিদ্ধের জন্য বিল পাস হবে বলে পত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দেশের ভেতর থেকে কিংবা বিদেশ থেকে নতুন করে রসদ সংগ্রহ করতে হবে। একের পর এক যুদ্ধাপরাধের মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার এবং তা কার্যকর করার যে বলিষ্ঠ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে তাতে জামায়াত-বিএনপি’র ইমেজ দিন দিন শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তারা রাজনীতির মাঠে ফিরে আসবে সে আশা এখন সুদূর পরাহত। এরকম পরিস্থিতিতে জামায়াত-বিএনপি’র পক্ষে জঙ্গিদের রাজনৈতিক সমর্থন এবং অর্থ জোগান দেয়া অনেক কঠিন।
টার্গেট কিলিং যারা করছে তাদের মধ্যে দুটি গ্রুপের নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছেঃ এবিটি (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) এবং জেএমবি। লেখক, প্রকাশক হত্যার সঙ্গে এবিটি এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যার ক্ষেত্রে জেএমবি’র নাম বেশি করে আসছে। যখনই কাউকে হত্যা করা হচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের দায় আইএস নিয়েছে বলে জানাচ্ছে ইসরায়েলী বংশোদ্ভূতের নেতৃত্বে তৈরী মার্কিন প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স। খবরগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচার করছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াঃ সিএনএন, বিবিসি, গার্ডিয়ান, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ইত্যাদি। লেখক, প্রকাশক এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যাকাণ্ডের সুযোগ নিতে চাইছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। তারা জঙ্গি দমনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করার সুযোগ চাইছে অনেকদিন ধরে। প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবী প্রথম জানায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সম্প্রতি সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে যৌথ বাহিনী গঠনের মাধ্যমে জঙ্গি দমনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই ফোনের পরবর্তী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দুইজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অজুহাত হিসেবে আমেরিকা চাপাতি হত্যাকাণ্ডকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গিবাদের প্রসারে জামায়াত-বিএনপি’র ক্ষমতা কেন্দ্র সৌদি-তুর্কি-পাকিস্তানীদের আন্তর্জাতিক সহযোগী আমেরিকা এবং ইসরায়েল ভূমিকা রেখেছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক রহিত ইসরায়েলের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জামায়াত এবং বিএনপি নেতাদের যোগাযোগ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশেও কি তারা একই কাজ করছে না?
যদিও এখনো দেশে জঙ্গিদের অস্তিত্ব রয়েছে তবে প্রকৃত অর্থে জঙ্গিরা ইতোমধ্যে দমন হয়ে গিয়েছে। দমন মানে নির্মূল নয়। তাদের নির্মূল করতে আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন। তবে কোনভাবেই তা ২/১ বছরের বেশি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। ইতোমধ্যে বছর খানেক সময় পার হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এদের চিরদমন করতে না পারলে আওয়ামী লীগ এ যাবৎ জঙ্গি দমনের জন্য যত কৃতিত্ব অর্জন করেছে তা বিপরীত ফল দেয়া শুরু করবে। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থা রেখেছে তা সরিয়ে নেবে। আওয়ামী লীগও জামায়াত-বিএনপি’র মত একই দোষে দুষ্ট হবে। জামায়াত-বিএনপি’র সঙ্গে তার আর কোন পার্থক্য থাকবে না।
জঙ্গিদের এবং তাদের পৃষ্টপোষকদের এমন শাস্তি হতে হবে যাতে তারা আর কোন দিন এই বাংলাদেশে ছায়া ফেলতে না পারে। জঙ্গি নির্মূল হলে নির্মূল হবে উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি; স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক-দালালেরা। ফিরে আসবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠিত হবে অসাম্প্রদায়িক, সুস্থ রাজনীতি। সরকারে কিংবা বিরোধী দলে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান মানুষেরা। বাস্তবায়ন হবে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ৪ লক্ষ বীরাঙ্গনার স্বপ্নের বাংলাদেশ।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)