টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারছেন না মিরপুরের ২২ গজে। পেসারদের তোপে শুরুতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের তিন দলই। তাতে অবশ্য খুব বেশি হতাশ নন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। সাত মাসের করোনা বিরতির পর টাইগারদের প্রতিযোগিতামূলক খেলায় ফিরতে দেখেই বরং খুশি তিনি।
‘আসলে প্রত্যাশাটা ছিল ছেলেদের মাঠে ব্যাক করানো। সেটা সবচেয়ে বড় সাকসেস। ছোটবেলায় একটা কথা শুনেছি ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট, ফর্ম ইজ টেম্পোরারি। বলবো যে এটা হল ক্লাস, যারা পারফরম্যান্স করছে না বা আমরা যাদের নিয়ে সংশয়ে আছি। আমরা যারা খেলে এসেছি, এতটুকু বুঝি যে ৭-৮ মাস ক্রিকেটে না থাকলে যেটা হয় একটা ম্যাচ খেলার সিস্টেমে আসার ব্যাপার থাকেই। ট্রেনিং একটা আলাদা জিনিস, ওখানে কয়বার আউট হচ্ছেন না হচ্ছেন জানেন না। কিন্তু ম্যাচে তো একটাই সুযোগ, একবার আউট হলেই সুযোগ শেষ।’
‘বেশকিছু ভালো ইনিংস দেখেছি, হয়তো মিডল অর্ডার বা লেট মিডল অর্ডারে। টপঅর্ডারে কাউকে দেখিনি বড় ইনিংস খেলা বা সেঞ্চুরি করা। কিন্তু আমরা আশাবাদী কেউ না কেউ করবে, হয়তো আজকেই আসবে বা আরও তিনটা ম্যাচ আছে। এখান থেকে ২-১টা সেঞ্চুরি দেখলে ভালো লাগবে, না হলেও সমস্যা নাই। ছেলেরা যে মাঠে ফিরে এসেছে এতেই আমরা খুশি। সময়মত তারা জ্বলে উঠবে ঠিকই।’
খালেদ মাহমুদ বিপিএল, ডিপিএলে নিয়মিত কোচের ভূমিকা পালন করেন। একটি একাডেমিও চালান। খেলোয়াড়দের ভালো-মন্দ তার খুব ভালো জানা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বললেন সময় লাগবে।
‘একটু সময় লাগবে হয়তো, সত্যিকার অর্থে মানসিক, ফিজিক্যাল একটা সমস্যা তো ছিলই। তারপরও মনে করি মাঠে যারা খেলছে, তারা সর্বোচ্চটা চেষ্টা করছে, নিজেদের শতভাগ দিচ্ছে। এটা ভালো লাগছে, তরুণরা পারফর্ম করছে, বড়দের সাথে কাঁধ মিলিয়ে খেলছে। তারা ড্রেসিংরুম শেয়ার করছে , অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করছে, এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া মনে করি।’
‘আমি তো মনে করি বারবার এমন টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে তরুণদের জন্য ভালো হবে, আমাদের সিনিয়ররা এখন অনেক অভিজ্ঞ। বিশ্বের অনেক খেলোয়াড়ের চেয়ে অভিজ্ঞ। মুশফিক, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ), তামিম। মাশরাফী, সাকিব এই টুর্নামেন্টে নেই। দুজন আসলে আরও ভালো হতো। সিনিয়রদের থেকে অভিজ্ঞতা নিতে পারছে তরুণরা, এটা ইতিবাচক।’