ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, ব্রাজিল এবং নেদারল্যান্ডসের দূতাবাসে ‘ছায়া রাষ্ট্রদূত’ কর্মসূচি বাংলাদেশের নারী নেতৃত্বের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি তরুণীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং পেশাগত সিদ্ধান্তেও কাজে লাগবে বলে প্রত্যাশা করেন ওই চারদেশের চারজন নারী রাষ্ট্রদূত।
রোববার আমেরিকান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রত্যাশার কথা জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ডেনিশ রাষ্ট্রদূত আনা ফুগল এসকয়ার, ব্রাজিলিয়ান রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যামপস দা নব্রেগা এবং নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়েলেনার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একদিনের ‘ছায়া রাষ্ট্রদূত’ হওয়া বাংলাদেশের চার তরুণী। রাষ্ট্রদূতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে একদিনের জন্য হর্তাকর্তা হওয়ার উত্তেজনা-আনন্দ আর মূল্যবান অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তারা।
গত মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের কর্মসূচি হিসেবে একদিনের জন্য ঢাকাস্থ চারটি দূতাবাসে চারজন নারী রাষ্ট্রদূতের চেয়ারে বসেছিলেন বাংলাদেশের এই চার তরুণী।
তাদের জন্য নিজেদের চেয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ডেনিশ রাষ্ট্রদূত আনা ফুগল এসকয়ার, ব্রাজিলিয়ান রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা ক্যামপস দা নব্রেগা এবং নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়েলেনার।
বাংলাদেশের তরুণীদের জন্য ‘ছায়া রাষ্ট্রদূত’ উদ্যোগের সূচনা করেন ডেনিশ রাষ্ট্রদূত আনা ফুগল এসকয়ার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী তালবিয়া তানভিরকে নিজের চেয়ার ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের প্রশংসা করে ডেনিশ রাষ্ট্রদূতের মতোই একই কর্মসূচি শুরু করেন বাকী তিন দূতাবাসের তিনজন নারী রাষ্ট্রদূত।