ভারতীয় চালের আমদানি ও ভিয়েতনামের চালবাহী জাহাজের আগমনের খবরে মোটা চালের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ৬ টাকা কমেছে। তবে একই সময়ে অন্যান্য চালের দাম কমেছে মাত্র ১ টাকা। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, হাওরে বন্যার অজুহাতে অসাধু দেশী চালকল মালিকরা চাল মজুদ করে সংকট করতে চেষ্টা করেছে।
কয়েকমাস আগে দেশের হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যার পর অস্থির হয়ে উঠে চালের বাজার। তখন ৩২ টাকার মোটা চালের দাম ওঠে ৫০ টাকায়। এই পরিস্থিতিতে দাম কমাতে চাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে শুল্ক কমিয়ে দেয় সরকার।
সরকারের এই উদ্যোগের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের পাইকারি বাজার গুলোতে। দেশীয় চালের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা ভারতীয় চালও। এর ফলে দেশী মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে ৪০ টাকায়। তবে মোটা চাল ছাড়া অন্য চালের দাম খুব একটা কমেনি।
তবে চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দেশের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিকরা বলছেন অন্য কথা। তারা বলেন, বর্তমানে গুদাম সংকটের কারণে প্রয়োজন অনুযায়ী চাল মজুদ করতে পারে না সরকার। আর এই সুযোগে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে দাম বাড়ানোর পায়তারা করে চাল মিল মালিকরা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: