চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চার বছরেও অভিজিতের সব খুনির পরিচয় জানতে পারেনি তদন্তকারীরা

বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার চার বছর আজ। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ১১ জনকে চিহ্নিত করলেও খুনিদের সবার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তদন্তকারীরা।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা পার হওয়ার সময় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলার সময় তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও মারাত্মক আহত হন।

সেই হত্যার চার বছরেও খুনিদের সবার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ১১ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর বাইরে অভিজিৎকে হত্যায় প্ররোচনা দেয়ার প্রমাণ মিলেছে শফিউর রহমান ফারাবী নামে আরেকজনের বিরুদ্ধে। এই কারণে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্তে থাকা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) দাবি করছে, চার্জশিট চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ওই চার্জশিট আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সিটিটিসি বলছে, সাত জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হলেও এই হত্যার বিভিন্ন পর্যায়ে ১১ জন জড়িত ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর বাইরে একজনের বিরুদ্ধে হত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ রয়েছে।’

হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ১১ জনের মধ্যে সকলের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ৬ জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধেই আমরা চার্জশিট দেয় পুলিশ।

তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখন পর্যন্ত। তারা হল- মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, আরাফাত রহমান শামস এবং আবু সিদ্দিক সোহেল। এই তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

অভিজিৎ ও বন্যা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় সে দেশের সংস্থা এফবিআই হত্যার তদন্তে সহায়তা করছে। সংস্থাটির প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ১৩টি আলামত পরীক্ষা করে রিপোর্টও দেয় এফবিআই।

এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কাউন্টার টেরোরিজমের কর্মকর্তারা বলছেন, মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ। ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সিটিটিসি এই মামলার তদন্ত শুরু করে।