ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে এবারে ৬০ ভাগেরও বেশী ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ৪শ ১৬টিতে, বিএনপি ৬৯টিতে এবং অন্যান্য প্রার্থীরা জিতেছেন ১শ’ ৭২টি ইউনিয়নে। এ দফার নির্বাচনেও সহিংসতায় তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।
দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো ইউপি নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে এবারো আওয়ামী লীগের জয়ের পাল্লাই ভারী।
চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় সব জেলাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। একটি ইউনিয়নেও জয় লাভ করতে পারেনি বিএনপি । কক্সবাজারে ২টি করে ভাগ করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
তবে চাঁদপুরে ৭টিতে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থীরা। নোয়াখালী ও লক্ষীপুরে সব ইউনিয়ন পরিষদে বিজয় এসেছে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।
খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়ায় ২২টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয় পেয়েছেন ১৩টিতে। বিএনপি ১টিতে।
ঝিনাইদহে ১১, যশোরে ৭, মাগুরায় ১০, নরাইল ৫, ও চুয়াডাঙ্গায় ৪টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। এ অঞ্চলে একমাত্র মেহেরপুরেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ৪টি ইউপি করে ভাগ করে নিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর জেলার একটিতেও বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হননি।
টাঙ্গাইলে ৬টিতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ২টিতে ও অন্যান্য ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
মানিকগঞ্জে ২০ ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৮টিতে।
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ ৯টিতে, বিএনপি ৩টিতে ও অন্যান্য প্রার্থীরা ৫টিতে জয় পেয়েছেন।
সিলেটে বিএনপি ৯টি, আওয়ামী লীগ ৭টি ও ৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় লাভ করেন। এই বিভাগের অন্য জেলা মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ ৬টিতে এবং বিএনপি প্রার্থী ১টিকে বিজয়ী হন।
রংপুরে ২১টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে বিএনপি,কুড়িগ্রামে ৯টিতে আওয়ামী লীগ, ৭টিতে বিএনপি, গাইবান্ধায় ৭টিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হন।
ঠাঁকুরগাঁয়ে ১৬টিতে আওয়ামী লীগ, ২টিতে বিএনপি,দিনাজপুরে ১৩টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং ৩টিতে বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করে।
লালমনিরহাটে ৮টিতে আওয়ামী লীগ ৪টিতে বিএনপি এবং নীলফামারীতে ৭টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হন।