চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘ঘাপলা’ আছে জেনেও কাদের চেয়েছেন মওদুদ নির্বাচন করুক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের হলফনামায় ত্রুটি থাকার পরও তার মনোনয়নপত্র বৈধ থেকেছে। কারণ তিনি চেয়েছেন মওদুদ নির্বাচনে অংশ নিক।

সোমবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের হলফনামায় ত্রুটি থাকার পরও আমি একান্তভাবে চেয়েছি তিনি নির্বাচনে অংশ নিক।’

‘‘আমার যে নির্বাচনী এলাকা সেখানে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী মওদুদ আহমেদ সাহেব। খুব নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল মওদুদ আহমেদ সাহেবের মনোনয়ন দাখিলে কিছু ‘ঘাপলা’ আছে।’’

তিনি যোগ করে বলেন, কিন্তু আমি চাইছিলাম তিনি নির্বাচন করুক। না হলে নির্বাচন তো জমবে না। ওখানে কার সঙ্গে ইলেকশন করব? আমার কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে। উনার প্রার্থীতা টিকে যায় আমি এটা চেয়েছি।

‘‘২০০৮ সালেও এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম আমি কোনো বাধা সৃষ্টি করব না। নিয়ম-কানুনের কোনো বিষয় নিয়ে আমি লড়তে যাব না।’’

এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে যেখানেই বাদ গেছেন, সেখানে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের জন্যই বাদ গেছেন।

১৩ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম তাহলে কিভাবে নির্বাচন করেছে? জানতে চাইলে কাদের বলেন: হাজী সেলিম ১৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি নির্বাচনী লড়াইয়ে টিকে গেছেন। এখানে আওয়ামী লীগেরও সন্দেহ ছিল তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই ওই আসনে দুই জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনী আইনে তিনি টিকে গেছেন এখানেতো আমাদের কিছু করার নেই।

এ সময় তিনি যোগ করেন, মনোনয়ন বাতিল একান্তই নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটি সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। তাই যদি না হতো তাহলে আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক জাতীয় পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি কি বাদ পড়তেন? আর বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়টি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই বছরের বেশি যারা কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারা নির্বাচন করতে পারবে না। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

কাদের বলেন, আমাদেরও তো অনেকে বাদ পড়েছেন আমাদের কি করার আছে? নির্বাচন কমিশন তার আইন মেনে কাজ করছে। নতুন করে তো কোনো আইন করা হয়নি। নির্বাচনী যে আইন সে আইন অনুযায়ী বাদ গেছে, এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।