চট্টগ্রামের ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট, ডিএপি সার কারখানায় গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় এখনো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ওই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক মানুষ। কারখানার আশপাশের এলাকায় মরে গেছে মৎস্য প্রকল্পের মাছ এবং গাছপালা। ঘটনার তদন্তে কাজ শুরু করেছে কমিটি।
ডিএপি সারের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক এসিড, তরল অ্যামোনিয়া ও সালফিউরিক এসিড। এর মধ্যে অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণে কর্ণফুলি নদীর দুই পাড়ে কয়েক কিলোমিটার এলাকার শত শত নারী পুরুষ আক্রান্ত হন।
ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন এবং বিসিআইসি’র পক্ষ থেকে আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে ৫ শিশু সহ ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন।
‘দুই গুনে এক সার ডিএপি নাম তার‘, স্লোগানে ২০০৬ সালে চট্টগ্রামে চালু হয়
ডিএপি সার কারখানা। এটি চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার আঙ্গিনায় অবস্থিত,
তবে বিসিআইসির আলাদা একটি কোম্পানি।
সোমবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ডিএপি-১ এর
রিজার্ভ ট্যাংক ফেটে যায়। মুহূর্তেই মজুদ করা অ্যামোনিয়া আশপাশের এলাকায়
ছড়িয়ে পড়ে।