বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। মাঝারি পুঁজি নিয়ে শুরুতে উইকেট তুলে লড়াইয়ের আভাস দিলেও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রাইলি রুশোর তাণ্ডবে হেসেখেলেই জিতেছে মুশফিকুর রহিমের দল।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-১৪৪/৬, খুলনা টাইগার্স-১৪৬/২ (১৩.৫ ওভার)
বুধবার আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে সহজে জয় তোলা চট্টগ্রাম এদিন ব্যাটে-বলে হতাশ করেছে। বিপরীতে দুর্দান্ত খেলে ৮ উইকেট ও ৩৭ বল হাতে রেখে ম্যাচ শেষ করে খুলনা।
অফস্পিনার নাসুম আহমেদের প্রথম ওভারে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে স্টাম্পড হন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪ বলে ৪)। এ বাঁহাতি সাজঘরে ফেরার পর ক্রিজে আসেন রুশো। গুরবাজের সঙ্গে তার ৭০ রানের জুটিটি ভাঙে পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে।
পথে ৬ ওভারে আসে ৭৪ রান। মুক্তার আলির বলে লংঅনে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ। আফগান ডানহাতি ব্যাটসম্যান মারেন ৫টি ছক্কা, ৪টি চার।
রুশো ৬৪ রানে থাকেন অপরাজিত। খেলেন মাত্র ৩৮ বল। সাউথ আফ্রিকার এ বাঁহাতির ব্যাট থেকে আসে ২টি ছক্কা, ৭টি চার। অধিনায়ক মুশফিক অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপিএলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ইমরুল কায়েসের ঝোড়ো ফিফটিতে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ১৬২ রান তাড়া করে জিতেছিল দলটি। একদিন পরই দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংটা হয় নড়বড়ে। খুলনার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলটি তোলে ১৪৪।
তিন পেসার রবি ফ্রাইলিংক, মোহাম্মদ আমির, শফিউল ইসলামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল চট্টগ্রাম। পাওয়ার প্লে’তে উইকেট না হারালেও প্রয়োজন অনুসারে রান তুলতে পারেননি চট্টগ্রামের দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। প্রথম ৬ ওভারে ৩৯ রান তোলেন তারা।
সিমন্স ২৩ বলে ২৬ করে ফিরলে ভাঙে ৪৫ রানের ওপেনিং জুটি। পরে নাসির হোসেন, নুরুল হাসান সোহানরা দাঁড়ালেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষদিকে মুক্তার আলি ১৪ বলে ৪ ছয়ে ২৯ রান করলে দেড়শর কাছাকাছি সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। নাসির হোসেন ২৭ বলে ২৪, সোহান করেন ১৭ বলে ১৯ রান।
একটি করে উইকেট নেন ফ্রাইলিংক, শফিউল, আমিনুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম।