বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ জুলুম করছে বলে বিএনপি চেয়ারপার্সন যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের উল্লেখ করেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মমতাজ উদ্দিন, মঞ্জুরুল ইমামের মতো অনেক নেতাকেই হত্যা করা হয়েছে, এ কথাও দেশের মানুষ জানে।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে প্রদত্ত বক্তৃতার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীর রক্তের দাগ বেগম জিয়ার হাতে, দেশের মানুষ একথা ভুলে যায়নি, জুলুম করেছেন তিনি। কিন্তু আজো ক্ষমা চাননি। হাওয়া ভবনে লুঠপাট, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা এসবই হয়েছে তার আমলে। ২০১৩, ’১৪, ’১৫ সালে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব, আগুনে মানুষ পোড়ানো, পেট্রোল বোমা হামলায় মানুষ খুন- এসব এখনো জনগণ ভোলেনি। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল তার আমলেই। দেশের মানুষ এ কথা জানে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে, কোন দলীয় সরকারের অধীনে হয় না।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতির দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব ধরনের সহায়তা করবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সেনা মোতায়েন চায় না- এ কথা সত্য নয়, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করতে পারে, এতে আওয়ামী লীগের আপত্তির প্রশ্নই ওঠে না।
ওবায়দুল কাদের শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেত্রীর ক্ষমা করে দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, মামলার সাজা থেকে বাঁচার জন্যই তিনি এ নাটক করেছেন। কারণ, এ মামলা বর্তমান সরকার করেনি, করেছে তার নিয়োগকৃত ফখরুউদ্দীন-মইনউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। দেশের মানুষ বরং মনে করে, বেগম জিয়ার ক্ষমা চাওয়া উচিত। কারণ, দেশে নিষ্ঠুর রাজনীতির জন্মদাত্রী হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় নেতা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং এনামুল হক শামীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।