ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে একজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে।
রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া’র অনুসারী ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু’র গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে ও জোহা চত্বরে দুই দফা সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলো: ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফুল ইসলাম আসিফ ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী এবং অর্থনীতি বিভাগের ইসহাক রেজা অনিক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়: শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলা মাঠে অর্থনীতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ক্রিকেট খেলা হয়। ওই সময় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মারুফ ও আসিফ টুকিটাকি চত্বরে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সজলের সাথে দেখা করতে আসে। দেখা করে শহীদুল্লাহ কলাভবনের কাছে গেলে তাদের ওপর অনিকসহ কয়েকজন হামলা চালায়। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে জোহা চত্বরে অনিককে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায় মারুফসহ ১০-১৫ জন।
মারধরের ব্যাপারে আহত ইসহাক অনিক বলেন: তেমন কিছু হয়নি খেলাধুলা নিয়ে দুই বিভাগের দু’একজনের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে অপর আহত আসিফ বলেন: শুক্রবারের খেলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলে অর্থনীতি বিভাগের একজন আমাকে এসে মারধর করে। সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধান করি। কিন্তু অনিক ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে আমায় আবার মারধর করে।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে রাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন: দুই বিভাগের ছোট ভাইদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। আমরা তা সমাধান করে দিয়েছি।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন: অর্থনীতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের খেলা নিয়ে তাদের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছিলো। আমি ও সভাপতি বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান এ বিষয়ে বলেন: খেলাকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিলো ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে ফোন দিয়ে সমাধান করে দিতে বলেছি।