সাম্প্রতিক সময়ে প্রবেশ করা ও আগে থেকে দেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গা মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আগে প্রবেশ করা অনেক রোহিঙ্গা নানা ফাঁক গলে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েছে। নতুন আসা রোহিঙ্গারা যাতে এদেশের নাগরিক হতে না পারে এবং তাদের জন্য নির্দিষ্ট করা ক্যাম্পে অবস্থান করে, তার জন্য সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দেশের ভেতর ছড়িয়ে পড়া দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বিদেশি, অন্য দেশের নাগরিক। এদেশে থাকার কোন বৈধ কাগজপত্র তাদের নেই। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, মানবিক কারণে তাদেরকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। যাতে তাদের আইডি কার্ড দেওয়া যায়। ডাটাবেজ তৈরি করা যায়। বাইরে থাকলে তো আর এটা করা যাবে না। তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।’ যেহেতু তাদেরদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং সমস্যা সমাধান হলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে, সেজন্য এই বিষয়টি লক্ষ রাখা জরুরি বলে আমরাও মনে করি। রিলিফের নামে কেউ রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতে পারে বলে আইজিপির সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত হয়েছে। এ বিষয়টিও ভেবে দেখার মতো। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে তাদের স্বল্পকালীন সাহায্য দেয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন বন্ধুদেশ যথেষ্ট তৎপর। কাজেই আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নিয়ম মেনে তাদের কাজকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে করতে সাহায্য করছে কিনা, তা সবারই দেখা উচিত বলে আমরা মনে করি। আশাকরি দেশের সকল নাগরিকসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল এ ব্যাপারে মানবিক ও নিয়মতান্ত্রিক নজর দেবেন।