বন্যার পানির তোড়ে ভেসে আসা ভারতীয় বুনো হাতিটি বনবিভাগ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। হাতিটি পানি থেকে ডাঙায় না ওঠায় বেশ কয়েকবার কৌশল পরিবর্তন করেও উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন করে জামালপুরের বকশিগঞ্জে ৩০/৩৫টি ভারতীয় বন্য হাতি ঢুকে পড়েছে।
হাতিটি ২৬ জুন ভারত থেকে কুড়িগ্রামের রৌমারি দিয়ে বন্যার পানিতে বাংলাদেশে ভেসে আসে। এক মাস এগার দিন ধরে বন্যার পানিতে কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বন্য হাতিটি। ভারতীয় প্রতিনিধি দলও ফিরে গেছে ব্যর্থ হয়ে।
বন্যার পানি আর উৎসুক মানুষের ভিড়ের কারণে ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করেও হাতিটিকে উদ্ধার করা যায়নি। শুকনো জায়গায় না ওঠা পর্যন্ত হাতিটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে না মনে করছে বন বিভাগ।
বন্যপ্রানী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসিম মল্লিক বলেন, বন বিভাগের রেসকিউ ইউনিট জামালপুর সরিষাবাড়িতে বন্য হাতিটি উদ্ধারে কাজ করছে। যেহেতু চরগুলো শুকিয়ে আসছে-আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই আমরা বন্য হাতিটি উদ্ধারে সক্ষম হবো।
বন্য হাতিটি খাবারের সন্ধানে বার বার লোকালয়েও হামলা চালায় বলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে হাতিটি সরিষাবাড়ির কামরাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দপুরে রয়েছে।
হাতি উদ্ধারে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বন বিভাগ ও মনিটরিং টিম। যদুর চরে যাওয়া ৩০/৩৫টি ভারতীয় বন্য হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।