চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কানাডায় বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু-পিয়ারে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন

প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটিতে (জিআইএফএস) বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। কানাডা ও বাংলাদেশের কৃষি গবেষকদের মধ্যে সহযোগিত বৃদ্ধির জন্য ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) চত্বরে জিআইএফএস এর আঞ্চলিক অফিস চালু হয়েছে। এছাড়া গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরে বঙ্গবন্ধু-পিয়ারে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে।

বুধবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কাজের অগ্রগতি দেখতে সম্প্রতি সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করেন। প্রতিনিধিদলের সদস্য সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (জিআইএফএস) পরিচালক স্টিফেন ভিশার, সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) ড. বালজিৎ সিং, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার ড. এন্ড্রু শার্প এবং ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গত ৮ মে রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন করায় কানাডা সরকারকে ধন্যবাদ জানান ও বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার হিসাবে নিয়োগ পাওয়ায় ড. এন্ড্রু শার্পকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-পিয়ারে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রকে আন্তর্জাতিকমানের সেন্টারে উন্নীত করা হবে, যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের আগে থেকেই বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের সূচনা হয়। এ সময় তিনি ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর, সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হলে- কানাডার তৎকালীন ট্রুডো সরকার কর্তৃক পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, সেকথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, কানাডা সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখে। স্বাধীনতার পর যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকৃতি দেয়, কানাডা (১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের অন্যতম।

বৈঠককালে স্টিফেন ভিশার বলেন, তারা জিআইএফএস এর ঢাকাস্থ আঞ্চলিক অফিসকে সব ধারণের কারিগরি সহায়তা দেবেন। ড. বালজিত সিং বলেন, পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার জন্য কেউ সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে, তারা তাকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবেন। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের কাঁঠালের বছরব্যাপী উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার নিয়েও কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

সাক্ষাতকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,সাস্কাচুয়ান কানাডার কৃষি উৎপাদনে শীর্ষ স্থানীয় প্রদেশ এবং সাস্কাচুয়ানকে কানাডার খাদ্য ভান্ডার বলা হয়। সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কানাডায় কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। সেখানে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন, ঢাকায় তাদের অফিস চালু এবং বঙ্গবন্ধু-পিয়ারে ট্রুডো কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের ফলে কানাডার প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যাবে। বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে কৃষিখাতে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও মজবুত ও টেকসই হবে।