দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ৩৯৯তম দিনে নতুন ৭৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৬৬১ জন।
বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে চলতি মাসের ৮ তারিখে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৩৪৩ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৬ হাজার ৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ৩৪৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৬১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৫টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা।
এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৮৩৭ জনসহ মোট পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৭৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী। তাদের মধ্যে সবারই হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা নয় হাজার ৬৬১। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত সাত হাজার ২২৬ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৪ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং দুই হাজার ৪৩৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৭৭ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী এক জন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী তিন জন, ত্রিশোর্ধ্ব দুই জন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৪৪ জন রয়েছেন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে দুই জন, বরিশাল বিভাগে এক জন ও সিলেট বিভাগে এক জন ও রংপুরে বিভাগে চার জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৯ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১০ কোটি ৮৯ লাখের বেশি।