দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১২৬ তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬২৮ জন।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৫টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৯ লাখ ২৯ হাজার ৪৬৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ।
তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৬৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ১২৯ জন। মোট আক্রান্ত শনাক্তের হার ১৯.৪৯ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩০ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৩০৫-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬২৮ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৩৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
ডা. নাসিমা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন এবং নারী পাঁচজন। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব তিনজন ও ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন। এদের ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের এবং একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৬ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭৩ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।