জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন এতে তারা সন্তুষ্ট। এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণ হলো অপরাধী যেই হোক অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এ রায় রাজনীতিবিদদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং আদালতের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আদালত বিচার বিবেচনা করে যে রায় দিয়েছে সে রায়ে আমাদের সকলের আস্থা রাখা উচিত। আমি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
৯০’র দশকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দেওয়া ও বর্তমানে মূল দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা বাবু অসীম কুমার অবশ্য সরাসরি সন্তুষ্টি প্রকাশ না করে বলছেন এ রায় আগামীতে রাজনীতিবিদদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলছেন, আমার কাছে সন্তুষ্টির থেকে বড় কথা দুর্নীতি-অনিয়মের বিচার হয়েছে। এটা রাজনীতিবিদদের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যা আগামীতে উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেছেন, এ রায়ে আমি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। আদালত যে রায় দিয়েছে সে রায়ে আমাদের সকলের আস্থা রাখা উচিত। খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো অপরাধী যেই হোক, অপরাধ করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সোমবার সকালে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় দেয় আদালত। সহযোগিতার দায়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিছ চৌধুরী, জিয়াউল হক মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।