সংগীতে দেশের সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’। যার ১৪ তম আসর হয়ে গেল গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। বৈচিত্র্য আনতে গেল বছরের মতো এবারের ভেন্যুও ছিল হবিগঞ্জ জেলার ‘দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট’-এ। ‘ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’-এর আয়োজনটি এবার নিবেদন করে সাইফ পাওয়ারটেক।
৩০ জানুয়ারি দিনভর পুরো রিসোর্ট ভরে যায় দেশের নবীন-প্রবীন শিল্পীদের পদচারণায়। একে একে দেখা মেলে সংগীত পরিচালক আজাদ রহমান, শেখ সাদী খান, মানাম আহমেদ, প্রিন্স মাহমুদ, নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু, চিত্রনায়ক সাইমন, সংগীতশিল্পী মো. খুরশীদ আলম, সৈয়দ আবদুল হাদী, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফেরদৌস আরা, সামিনা চৌধুরী, কুমার বিশ্বজিৎ, অনিমা রায়, মেহরীন, রমা, বিউটি, কিশোর দাস, ঝিলিক, ইমরান, কনা, কোনাল, পিন্টু ঘোস, সজিব, শারমিন, ইতি, খায়রুল, তিন্নি, অবন্তী সিঁথি, বাপ্পি, শফিক তুহিনসহ আরো অনেকের। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন- পৃষ্ঠপোষক এবং সরকারি ও বেসরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
দিনের আলো ফুরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্ধ্যায় হরেক রকম বাতির ঝলকানির মধ্যে সুরের কারিগরেরা হাজির হয়েছিলেন একে একে। বিশাল আয়তনের পুরো রিসোর্টটি যেন দোলছিলো সুরের সাম্পানে! অনুষ্ঠানের শুরুতে গেল ২ বছরে হারিয়ে যাওয়া গুণী শিল্পীদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো হয় হারিয়ে যাওয়া গুণী শিল্পীদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে। পুরস্কারের ফাঁকে ফাঁকে এ প্রজন্মের শিল্পীদের কণ্ঠে এবং কোরিওগ্রাফিতে ফুটে উঠে জমকালো সেই আয়োজন। আজীবন সম্মাননা পর্বে এবার সম্মাননা তুলে দেয়া হয় রফিকুল আলম ও গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের হাতে।
জাঁকজমকপূর্ণ তিন ঘণ্টার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। পুরো অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন ইজাজ খান স্বপন। ধারণকৃত এই অনুষ্ঠানটি শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় চ্যানেল আইয়ের পর্দায় দেখানো হবে।
এ বছর পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন:
লোকসংগীত-বিউটি, রবীন্দ্র সংগীত- শিমু দে, নজরুল সংগীত- ইয়াসমীন মুশতারী, আধুনিক গান- কোনাল, গীতিকার- বায়েজীদ খুরশীদ, মিউজিক ভিডিও- সৈকত নাসির, কাভার ডিজাইন- সৈয়দ কামাল, সংগীত পরিচালক- প্রিন্স মাহমুদ, সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার- এম.জি. কিবরিয়া, নবাগত শিল্পী- ঐশী, অভিও কোম্পানী- ধ্রুব মিউজিক স্টেশন, ছায়াছবির গান- আঁখি আলমগীর, ব্যান্ড- শিরোনামহীন।