সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের একটি ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন ও আইনুলকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাদের সিলেটের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে আজও আইনজীবীরা আসামীর পক্ষে আদালতে দাঁড়াননি বলে জানান সিলেট কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট খোকন কুমার দত্ত।
সিলেটের এমসি কলেজের সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরে দোষীদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
দুপুরে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সামাজিক সংগঠনের নেতারা দোষীদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাও শাস্তির দাবি জানায়।
ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট এমসি কলেজ প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে ধর্ষণের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর আনোয়ারুল ইসলাম।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। স্বামীকে মারধর করে তাকে ছিনিয়ে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
স্ত্রীকে বাঁচাতে স্বামী তাদের পিছু পিছু গেলে তাকে বেঁধে রেখে ৫ থেকে ৬ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গণধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ কলেজের ছাত্রাবাস এলাকা থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণী এবং তার স্বামীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরদিন ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের ৯ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তারা হলেন; এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সে শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, ছাত্রলীগ কর্মী এম সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক।
মামলায় ৬ জনকে সরাসরি জড়িত বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।