জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (এনআইডি) ছাড়া বিসিএসের আবেদন করা যাবে না- এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে নমনীয় হয়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি)। এখন এনআইডি ছাড়াও ৩৮তম বিসিএসের আবেদন করা যাচ্ছে।
গত ২০ জুন প্রথম শ্রেণির দুই হাজার ২৪টি পদে নিয়োগ দিতে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিপিএসসি। সোমবার থেকে শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া। এ সুযোগ থাকবে আমাগী ১০ অগাস্ট পর্যন্ত।
এ বিষয়ে সরকারি বিপিএসসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে যে কোনো সময় এনআইডি চাওয়া হবে।
কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন: অপশন দুটোই রেখেছি, এনআইডি ছাড়াও আবেদন করা যাবে। তবে এক পর্যায়ে এনআইডি চাইব। যদি কারও এনআইডি হারিয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায় বা না পায় তবে তা কমিশনকে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন: তবে এখনও এনআইডি পুরোপুরি বাধ্যতামূলক করা হয়নি। কমিশন আস্তে আস্তে সেটা বাধ্যতামূলক করবে। এখন অপশন দুটোই রাখা হয়েছে। এনআইডি ছাড়াও আবেদন করা যাচ্ছে।
৩৮তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১৪ (৬) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এনআইডি নম্বর অনলাইন আবেদনপত্রের নির্ধারিত স্থানে উল্লেখ করতে হবে। কমিশন কর্তৃক নির্দেশিত সময় তা প্রদর্শন করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার সময় এনআইডির মূল কপি প্রদর্শন এবং সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে বা বিনষ্ট হলে তা পুনঃপ্রাপ্তির যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও কাগজপত্রসহ কমিশনকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেছিলেন, এনআইডি ছাড়া কেউ বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না।
এই বিসিএস থেকে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র দুইজন পরীক্ষক মূল্যায়ন করবেন। পরীক্ষকদের দেওয়া নম্বরের ব্যবধান ২০ এর বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষক উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন।
নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগেও ৩৮তম বিসিএসের পরীক্ষা হবে। ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই প্রশ্ন থাকবে। ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় ৯০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ বিষয়াবলীর মধ্যে আলাদা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন রাখা হবে বলেও পিএসসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।