প্রিন্সেস ডায়ানা ব্যক্তিত্ব, সৌন্দর্য আর মানবিক গুণে আজও রাজত্ব করছেন বিশ্ববাসীর মনে। আশির দশকের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফ্যাশন আইকন তিনি।
সেই প্রিন্সেস ডায়ানার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৭ সালের এই দিনে প্যারিসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
প্রিন্সেসের মৃত্যুবার্ষিকীতে ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হচ্ছে কোটি মানুষের হৃদয়ের রাণীকে।
লর্ড স্পেনসার ও ফ্রান্সিস রোচি’র তৃতীয় মেয়ে ডায়ানা ফ্রান্সিস স্পেনসারের জন্ম ১৯৬১ সালের পয়লা জুলাই। ১৯৮১’র ২৯ জুলাই মাত্র ২০ বছর বয়সে ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেই বিশ্ববাসীর নজর কাড়েন তিনি।
রাজপরিবারের ছকে বাঁধা কঠোর রীতিনীতি তার পছন্দ ছিল না। কয়েকশ’ বছরের প্রথা ভেঙে মিশতেন সবার সাথে। রাণী এলিজাবেথ ও স্বামী চার্লসের কটূ কথা শুনেও ছুটে যেতেন মানবতার সেবায়। দাঁড়িয়েছিলেন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে। এসবই তাকে জনগণের হৃদয়ের রাণী করে তোলে।
চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে থেকেই দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে নিয়ে রাজপ্রাসাদ ছাড়েন প্রিন্সেস অফ ওয়েলস। এরপর বিয়ের ১৫ বছরের মাথায় ১৯৯৬ সালের ২৮ আগস্ট প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিচ্ছেদ হয়।
বিচ্ছেদের পর নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। তবে বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশায় কিছু বিতর্কের জন্ম দেন লেডি ডায়ানা। কিন্তু এতে থেমে থাকেনি তার মানবিক সহায়তা। ১৯৯৭ সালে সাউথ আফ্রিকায় গিয়ে ল্যান্ডমাইন অপসারণ ও এইডসবিরোধী আন্দোলন জোরদারে সাউথ আফ্রিকার প্রয়াত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন।
বিয়ের পর থেকে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত ডায়ানার পিছু ছাড়েননি পাপারাজ্জিরা। সন্তানের জন্ম কিংবা জনকল্যাণ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত মুহূর্তও ছিল ক্যামেরাবন্দী।
১৯৯৭ সালে বন্ধু দোদি আল ফায়েদের সঙ্গে প্যারিসের পোন্ট ডি ল্য-অ্যালমা টানেলে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মাত্র ৩৬ বছরেই থেমে যায় ডায়ানার জীবন। তার মৃত্যুর খবরে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব।
দীর্ঘ বিশ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু রহস্য এখনো অজানাই রয়ে গেছে। তার মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত বলা হলেও ঘটনাকে হত্যা বলে এর পেছনে কারণ খুঁজছেন অনেকে।