এক সপ্তাহে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো এক কোটি বাড়ানোর টার্গেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সপ্তাহ। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা ।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটিতে নিয়ে যেতে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে স্ট্রিট পেইন্টিং এর ব্যতিক্রমী আয়োজনও করা হয়।
সেসময় জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের টার্গেট পূরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তারই ফল হিসেবে গত ৬ বছরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ।
এখন ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৭ লাখ। এ সংখ্যাকে আরো বাড়াতে প্রচারণা চালাচ্ছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বেসিস, গ্রামীণ ফোন এবং সরকারের আইসিটি বিভাগ।
গ্রামীণফোনের প্রধান বিপনণ কর্মকর্তা ইয়াসির আজমিন বলেন, গত এক বছর ধরে ইন্টারনেটের দাম ৫৯ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং সারা বাংলাদেশে ২০১৬ সালের মধ্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য রয়েছে গ্রামীণ ফোনের।
তথ্য ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্দেশ্য জানাতে গিয়ে বলেন, কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত, ঢাকা থেকে উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যন্ত এই সাত দিনে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেলার মধ্য দিয়ে অন্তত পক্ষে এক কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুফল জানানো হবে।
স্ট্রিট পেইন্টিং এর উদ্বোধন করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, লক্ষ্য পূরণে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কাজ করবে সরকার।
তিনি আরো বলেন, এবার প্রথম প্রোগ্রাম হলেও এর একটি পথ নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনাটি হলো ১৬ কোটি মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌছে দেওয়া আর তাদের সকলকেই যেনো আমরা একটি সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটকে যুক্ত করতে পারি।
৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইন্টারনেট সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।