এক বছর আগে পিয়ংইয়ংয়ের কেটে দেওয়া হটলাইন সংযোগ আবার চালু করেছে নর্থ কোরিয়া ও সাউথ কোরিয়া।
সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল অফিস জানিয়েছে, দুই দেশের নেতা আবার বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে এবং বন্ধন দৃঢ় করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
আরও বলা হয়, গত এপ্রিল থেকে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তিগত চিঠিপত্র আদানপ্রদান হয়েছে।
একটি ব্যর্থ বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততার মধ্যে ২০২০ সালের জুনে নর্থ কোরিয়া ওই হটলাইন কেটে দেয়।
এরপরেই নর্থ কোরিয়া দুই কোরিয়ার মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করার উদ্দেশ্যে স্থাপিত সীমান্ত অফিসও সরিয়ে নেয়।
নর্থ কোরিয়ার কর্মকর্তারা কেসিএনএ নিউজ এজেন্সিকে জানায়, শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে করা চুক্তি অনুযায়ী, সাউথ ও নর্থ কোরিয়া ২৭ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সমস্ত আন্তঃকোরিয়ান যোগাযোগ লাইন পুনরায় পরিচালনা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারা পারস্পরিক আস্থা পুনরুদ্ধার এবং পুনর্মিলনকে উৎসাহিত করতে বড় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন।
সাউথ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিনিধিরা ফোনে ৩ মিনিট আলোচনা করেছেন। মঙ্গলবার আরও একবার কথা বলা হবে, এরপরে প্রত্যেকদিনই।
সাউথের প্রতিনিধি বলেন, এক বছর পর কথা বলতে পেরে আমরা খুশি। এই পদক্ষেপ নিশ্চয়ই সব কোরিয়ানের জন্য ভালো খবর বয়ে আনবে।
সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন এবং নর্থ কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের তিনবারের আলোচনার পরে ২০১৮ সালে দুই কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। কিন্তু কিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় সামিটের পতনের পরে সম্পর্কের আবারও অবনতি হয়।
পরে দুই দেশের মধ্যেই উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। শেষ পর্যন্ত নর্থ কোরিয়া তাদের নেতাদের মধ্যে হটলাইনসহ সমস্ত সামরিক এবং রাজনৈতিক যোগাযোগের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পরে হটলাইনটি পুনরুদ্ধার করার এবং নর্থ কোরিয়াকে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাতিল করার লক্ষ্যে আলোচনা করার আহ্বান জানান।