এক-এগারোর সময় ব্যক্তি ও বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে আদায় করা ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে হবে।
হাইকোর্টের দেওয়া এ সংক্রান্ত রায় বহাল রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা ১১ টি আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিট আবেদনকারীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও খায়রুল আলম চৌধুরী।
আইনজীবী আহসানুল করিম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের আপিল আজ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এক-এগারোর সময় আদায় করা টাকা ফেরত দেয়ার হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো। এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ফেরত দিতে হবে।’
যাদেরকে টাকা ফেরত দিতে হবে:
এস. আলম স্টিলস লিমিটেডকে ৬০ কোটি টাকা, দ্য কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড এবং বারাউরা টি কোম্পানি লিমিটেডকে ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ২ টাকা ১৭ পয়সা, মেঘনা সিমেন্ট মিলকে ৫২ কোটি, বসুন্ধরা পেপার মিলকে ১৫ কোটি, ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডকে ৯০ লাখ, ইউনিক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজকে ৭০ লাখ, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসকে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ, ইউনিক ভকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মো. নূর আলীকে ৬৫ লাখ, বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেডকে ৭ কোটি ১০ লাখ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডকে ৩৫ কোটি এবং ইস্ট ওয়েস্ট প্রোপার্টি লিমিটেড ডেভেলপমেন্টকে ১৮৯ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে।
রিট আবেদনের নথি থেকে জানা যায়, সাবেক সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অগ্রিম আয়কর হিসেবে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সরকারি কোষাগারে ওই টাকা জমা দেওয়া হয়।