চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘এই বছর হালদার মতো চমৎকার ছবি আর দেখি নাই’

বছরের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘হালদা’। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম’-এর প্রযোজনায় গেল বছর ‘অজ্ঞাতনামা’ মুক্তির পর নির্মাতা হিসেবে তৌকীর আহমেদের প্রতি বাংলার সাধারণ দর্শক ভরসা রাখতে একটুও দ্বিধা করেননি। আস্থা রেখেছেন সব শ্রেণির সিনে-দর্শক। আর সেই আস্থারই যেন মূল্য দিলেন নির্মাতা তৌকীর আহমেদ তার ‘হালদা’ চলচ্চিত্রেও।

নদী ও নারীর গল্প নিয়ে নির্মিত অসাধারণ চলচ্চিত্র ‘হালদা’। ছবিটি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিলো প্রচারণা। বিশেষ করে সোশাল মাধ্যমে ছবিটি নিয়ে প্রচারণা ছিল দেখার মতো। বেশকিছু ইভেন্ট, পেইজ থেকে স্বেচ্ছাশ্রম হিসেবে ‘হালদা’র প্রচারণা শুরু করেছে বেশকিছু সিনেপ্রেমী তরুণ। ১ ডিসেম্বর সারা দেশে প্রায় নব্বইটি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেল। এরমধ্যে শুধু ঢাকা শহরের ১৭টি প্রেক্ষাগৃহে চলবে ছবিটি।

হালদা’র প্রিমিয়ারে তারকাদের মিলন মেলা
হালদা’র প্রিমিয়ারে মঞ্চে ছবির কলাকুশলীসহ তৌকীর আহমেদ

‘হালদা’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগের দিন সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছিল ছবির প্রিমিয়ার শো। রাজধানীর বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সের চার নাম্বার হলরুমে প্রিমিয়ার হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ‘হালদা’র সঙ্গে জড়িত নির্মাতা ও অভিনেতা ছাড়াও অন্যান্য কলাকুশলীরাও। অতিথি দর্শক ছিলেন বেশীর ভাগই ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়ার সংবাদ কর্মী, ছিলেন ছোট ও বড় পর্দার তারকা অভিনেতা অভিনেত্রীরাও।

‘হালদা’র প্রিমিয়ার শো শুরুর আগে অভিনেতা অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের নিয়ে মঞ্চে উঠেন তৌকীর আহেমদ। ছবিটি নিয়ে আগাম কিছু বলতে চাইলেন না তিনি। অজ্ঞাতনামা’র কথা টেনে এনে দর্শকদের হাতেই ছবিটির ভার দিয়ে দিলেন। বললেন, দর্শকই বিচার করুক ‘হালদা’ কেমন হল। ছবিটি ভালো হলে ভালো আর মন্দ হলে মন্দ বলার স্বাধীনতাও নির্মাতা দর্শকের হাতেই দিলেন।

হালদা’র প্রিমিয়ারে তারকাদের মিলন মেলাপ্রিমিয়ার শো’র মঞ্চে তৌকীর ছাড়াও একে একে ছবিটির প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে কথা বলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, রুনা খান, শাহেদ আলী, ছবির মিউজিক ডিরেক্টর পিন্টু ঘোষসহ অনেকেই। প্রত্যেকে সর্বস্তরের মানুষের প্রতি হলে গিয়ে হালদা দেখার অনুরোধ জানান।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় শুরু হয় ছবির প্রদর্শনী শো। শুরু হওয়া মাত্রই যেন পুরো হলরুমে পিনপতন নিরবতা। সুবিশাল পর্দার সামনে থাকা দর্শক মিশে যান সিনেমার গল্পের ভেতর, হারিয়ে যান চরিত্রদের সঙ্গে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘হালদা’র চরিত্ররা কথা বললেও দর্শকের বুঝতে নূন্যতম অসুবিধা হয় না। সবাই প্রাণ ভরে দেখেন নদী ও নারীর গল্প। নারীর সত্ত্বা খুঁজে ফেরার গল্প।

হালদা’র প্রিমিয়ারে তারকাদের মিলন মেলাসিনেমা শেষ হওয়া মাত্রই তুমুল কড়তালিতে জেগে উঠে স্টার সিনেপ্লেক্সের চার নম্বর হল রুম। নিরবতা ভাঙে। দর্শক সারি থকা একজন রীতিমত উচ্চসুরেই বলে উঠেন,এই বছর হালদার মতো অসাধারণ ছবি আর দেখি নাই! নামহীন ওই দর্শকটি শুধু নন, এমন তৃপ্তির আভা লক্ষ্য করা গেছে হালদার প্রিমিয়ার শো’তে আসা প্রত্যেক দর্শকের চোখে মুখে। একজন তরুণ নির্মাতাতো ছবি দেখার পর বলেই ফেললেন,নির্মাতা সিনেমায় নদী এবং নারী দুইটাকেই জিতিয়ে দিল।

হালদার’র প্রিমিয়ার শো শেষে একেএকে পরিচিত অপরিচিত সবার সঙ্গে ছবিটি নিয়ে কথা বলছিলেন নির্মাতা তৌকীর। জানতে চাইলেন, কেমন হয়েছে ছবিটি? তারআগে বলে নিলেন, হালদা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলবেন সবাই। আমি নির্মাতা বলে আমার সামনে ছবি নিয়ে ভালো ভালো কথা বলতে হবে এমন যেনো না হয়। আপনাদের স্বাধীন মতামত কামনা করি। সাংবাদিকদের অনেককেই তখন ছবির বিভিন্ন দিক নিয়ে নির্মাতার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল। অনেককে তখন দেখা গেল, ‘হালদা’র ঘোরেই আছেন। সিনেপ্লেক্স থেকে বের হয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ছবিটি নিয়েই কথা বলতে দেখা গেছে।