এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা।
১০ শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৪.৭০ শতাংশ, যা গত বারের চেয়ে ৫.১০ শতাংশ বেশি। সারাদেশে জিপিএ পাঁচ পেয়েছে ৫৮ হাজার ২৭৬ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৫৩%, রাজশাহী বোর্ড পাসের হার ৭৫.৪০%, জিপিএ ৫: ৬,০৭৩, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৪৯%, জিপিএ ৫: ১,৯১২, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৭০.৬৪%, জিপিএ ৫: ৩,৮৯৯, যশোরে পাসের হার ৮৩.৪২%, জিপিএ ৫: ৮,৫৮৬। এছাড়া পাসের হার বরিশালে ৭০.১৩%, জিপিএ ৫: ৫,৭৮৭, সিলেটে ৬৮.৫৯%, জিপিএ ৫: ১,৩৩০ এবং চট্টগ্রামে ৬৪.৬০%, জিপিএ ৫: ২,২৫৩।
মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.১৯% ও জিপিএ ৫: ২,৪১৪ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৪.৫৭% ও জিপিএ ৫: ৬,৫৮৭।
তবে পাসের হার বাড়লেও গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboard.gov.bd-তে ফলাফল পাওয়া যাবে। এছাড়া মোবাইল ফোন থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC<স্পেস>বোর্ডের প্রথম ৩ অক্ষর<স্পেস>রোল নম্বর<স্পেস>২০১৬ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
জিপিএ’র সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক প্রকৃত নম্বর জানিয়ে ২০১৬ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এবারের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে।
এবার সব বোর্ড মিলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬শ’২৮ জন। এর মধ্যে পাস করেছে প্রায় ৯ লাখ শিক্ষার্থী। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ কম হলেও ফলাফলে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার বেড়েছে। মেয়েদের পাসের হার ৭৫.৬০%।
৩ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে ৯ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ইউপি নির্বাচন এবং ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে একাধিক বার পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল।
গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক নম্বর জানার কোনো সুযোগ ছিল না। জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশ-সেরা শিক্ষার্থী কারা সেটি জানারও সুযোগ ছিল না। অভিভাবকরা লিখিত আবেদন করেও শিক্ষার্থীর সব বিষয় মিলে প্রকৃত নম্বর জানতে পারেননি।
চ্যানেল আই সংবাদের পক্ষ থেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা শিক্ষা অধিদপ্তরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও শীর্ষ মেধাবীদের তালিকা পাওয়া যায়নি। তবে আদালতের নির্দেশে এবার শিক্ষার্থীরা বিষয়ভিত্তিক নম্বর জানতে পারবেন।