সুবর্ণচরে ভোটের রাতে নারী নির্যাতনের আসামি রুহুল আমিনকে দেয়া জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাই কোর্ট। বহিষ্কৃত এই আওয়ামী লীগ নেতার মুক্তি মিলছে না। তার জামিন পাওয়ার পর দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরকম একজন দাগী আসামী কিভাবে জামিন পেতে পারে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের ভেতর উদ্বেগ ছিল, প্রশ্ন ছিল। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, সেহেতু এ নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারেনি। কিন্তু সামাজিক মাধ্যম ছিল সরব। সামাজিক মাধ্যমে মানুষের ক্ষোভ ভাইরাল হয়ে ওঠে।
আসামি পক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে শনিবার ছুটির দিনে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারকরা খাস কামরায় বসে আগের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলার আসামি রুহুল আমিনকে গত সোমবার জামিন দিয়েছিলেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ধর্ষণের আসামি হওয়ার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গোপাঙ্গরা’ স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চল্লিশোর্ধ নারীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ভোটের পর রাতে এই ধর্ষণকাণ্ডে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ওঠে দেশজুড়ে। আলোচিত এই মামলায় রুহুল আমিনসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকেই রুহুল আমিন জেলহাজতে।
ছুটির দিনে উচ্চ আদালত বসিয়ে তার জামিন প্রত্যাহার করা বাংলাদেশের আইনের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। আমরা চাই এই ধরণের জঘন্য অপরাধীর শাস্তি আইনিভাবেই সম্পন্ন হোক। আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে যেনো এই ধরণের আসামীরা সহজেই পার পেয়ে না যায় তা নিয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং অপরাধীর শাস্তি যেনো জনমানসে বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। উচ্চ আদালতের আজকের জামিন প্রত্যাহারের বিষয়টি জনমনে স্বস্থিও এনেছে।