চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঈদ উপলক্ষে ঈগলু আইসক্রিমের ব্যতিক্রমী আয়োজন

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। আর এই ঈদের আনন্দের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ ছোট শিশুরা। শিশুদের ঘিরেই পরিবারের ঈদ আনন্দ বেশি হয়ে থাকে। আর শিশুদের ঈদ আনন্দের একটি অন্যতম প্রিয় খাবার আইসক্রিম। আইসক্রিম শিশুদের খুব প্রিয় হলেও বড়রাও এর স্বাদ নিতে ভোলেন না। ঈদের সময় ঘরে ঘরে আনন্দ বাড়িয়ে দিতে ছোট বড় সবার চাই আইসক্রিম। তাই এই সময়ে নানা রকমের অফার নিয়ে পরিবারের ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় আইসক্রিম ঈগলু। ঈগলু এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জি এম কামরুল হাসান এবারের ঈদে তাদের আয়োজন নিয়ে কথা বলেন। তার সাক্ষাতকার নিয়েছেন রাজু আলীম

প্রশ্ন: সামনে ঈদ। ফেস্টিভপ্রিয় বাঙালির জন্য ঈদের সময়ে ঈগলুর কী আয়োজন থাকবে?
জি এম কামরুল হাসান: প্রতিটি ফেস্টিভকে টার্গেট করে আমরা নতুন নতুন ইনোভেশন্স আনি। ঈদেও আমাদের নতুন আইসক্রিম থাকবে। বাংলাদেশ অসম্ভব ফেস্টিভ কান্ট্রি। আমাদের ছোটবেলায় ভ্যালেন্টাইন ডে ছিল না। কিন্তু এখন ভ্যালেন্টাইন ডে’র জন্য সবাই কিন্তু ক্রেজি। ফ্রেন্ডশিপ ডে ছিল না। মাদার ডে ছিল না। ফাদার ডেও ছিল না। ঈদটাও এই রকম একটা বিশেষ দিবস। ঈদের সময়ে আমরা প্রতিবছরই কনজ্যুমারদের জন্য নতুন নতুন আইসক্রিম দিয়ে থাকি। ঈগলু এই জায়গায় অলওয়েজ পাইওনিয়ার। ঈদকে সামনে রেখে ডেজারট আইসক্রিম আনছে ঈগলু। কারণ ঈদ হলো ডেজারট কানেকটিভিটি। সারা বছরেও কেউ যদি ডেজারট না খায়। ঈদের দিন কিন্তু তারা ডেজারট খেতে চায়?

প্রশ্ন: ঈদের শাহী খাবারের পরে ঠাণ্ডা ডেজারট বেশ উপভোগ্য? আর তা যদি হয় ঈগলুর ডেজারট তাহলে তো কথাই নেই?
জি এম কামরুল হাসান: এই ধরণের ডেজারট আইসক্রিম ঈদে সবার জন্যে আনছে ঈগলু। আশা করি বাচ্চা থেকে শুরু করে সব বয়েসী পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই আইসক্রিম খেতে পারবেন সবাই। এবারের ঈদে ঘরে ঘরে ঈগলুর ডেজারট আইসক্রিম ঈদ আনন্দকে আরও একটু রঙিন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

প্রশ্ন: আমাদের ছেলেবেলায় তো ঈগলুর মতো উপাদেয় আইসক্রিম ছিল না? তখন ঈদি পেলে আমরা কাঠিতে মোড়ানো রঙিন বরফের এক ধরণের আইসক্রিম খেতাম আমরা?
জি এম কামরুল হাসান: যতোটুকু মনে করে ছোটবেলায় যখন ঈদি পেতাম তখন তো আর আজকের মত এতো টাকা পেতাম না। কাউকে সালাম করলে এক টাকা দুই টাকা পেতাম।

প্রশ্ন: ওই টাকাই তো তখন অনেক টাকা এবং বড় খুশির সময় এনে দিতো না?
জি এম কামরুল হাসান: হ্যাঁ। ওই এক দুই টাকাই তখন অনেক বড় টাকা। ওই টাকা নিয়ে বের হয়ে যেতাম। সারাদিন ঘুরতাম আব্বা আম্মা কিছুই বলতেন না। ঈদ আসলে আমার কাছে ছিল একটা ফ্রিডম ডে।ঈদের আগের দিন ঈদের দিন পড়াশোনা করতে হবে না। এটি ছিল একটা বড় আনন্দের অনুভূতি। ওই দিন বাবা মায়েরাও কিছু বলতো না- ঠিক আছে। কালকে ঈদ আছে তুমি ফ্রি।

প্রশ্ন: বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়িতে ফেরার সময়ও নির্দিষ্ট থাকতো না?
জি এম কামরুল হাসান: না- এই দিনে কোন কমপ্লেন ছিল না যে, নরমালি বাসায় সন্ধ্যার আগে ঢুকতে হতো কিন্তু ওই দিন। তাই ঈদের সময়টা খুবই ডিফারেন্ট ছিল। আর আইসক্রিম ছিল ঈদের খুশির বড় অংশ। মহল্লায় বেল বাজায় বাজায় আইসক্রিম নিয়ে আসতো। তার পরে বরফ কুচি কুচি করে আইসক্রিম। এই সব মনে করলে খুব কষ্ট লাগে ছেলেবেলার জন্যে। সবার জন্যেই খুবই সুখের ছিল ছেলেবেলা। খুব নস্টালজিক হয়ে যাই।

প্রশ্ন: কেন ওই সময়ে ফিরে যেতে পারি না আমরা? সেই ছোট ছোট অনুভূতি সারা জীবন আমাদের মনে গেঁথে থাকে? ঈগলু আবদুল মোনেম গ্রুপ এর অংশ। আপনারা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন সবার সাথে সেই সম্পর্কে কিছু জানতে চাই?
জি এম কামরুল হাসান: আমাদের প্রাইমারি অফিসিয়াল ফ্যামিলি হলো দোকানদার যারা আমাদের কাস্টমার। যারা আমাদের ব্যবসা দেন- ডিলারস এন্ড রিটেইলারস। এদের মাধ্যমে ব্যবসা হয় আমাদের। আমরা চেষ্টা করি প্রতিবছরই আমাদের যে ম্যাক্সিমাম নাম্বার অব যারা দোকানদার আছেন তারা যাতে সকালে ঈগলু দিয়ে তাদের কাজ শুরু করেন। আমরা তাদের বাসায় আইসক্রিম এবং ঈদ কার্ড পাঠাই।

স্পেশাল প্যাকেট করে আইসক্রিম সবার বাসায় পাঠানো হয়। তারা আমাদের সাথে সারা বছর ব্যবসা করে তারাও অনেক রিচ অ্যাজ ওয়েল। বাট উই ওয়ান্ট টু উইশ দেম। ঈদের তিন তিন আগে থেকে এই গিফট আমরা তাদের বাসায় বাসায় পৌঁছে দেই সিলেক্ট করে করে আমাদের টীমের মাধ্যমে। দে বিকাম ভেরি হ্যাপি। এমন না যে তাদের বাসায় কিছু নাই। ব্যাপারটা ওই রকম না। বাট ওয়ান্স দে গেটিং স্পেশাল ঈদ গিফট।

আমার পরিবার কিন্তু আমার দোকানদার, আমার টীম। এটি বিশাল ব্যাপার আমাদের জন্যে। অফিসের কলিগ পাশাপাশি টীম আছে। সুতরাং আমি আমার দোকানদারকে ট্রিবিউট করতে চাই। তাদেরকে সম্মান দিতে চাই? স্পেশাল ডে তে তাদেরকে ভালবাসা দিতে চাই। দ্যাট ইজ দ্য বিগ থিং উই ইউজড টু ডু। দুইটা ঈদে আমরা প্রতিবছরই এই উপহার তাদেরকে পাঠাই। আর বাংলা নববর্ষেও করি। আমরা চেষ্টা করি বিশেষ দিনগুলোতে অফিসিয়ালি তাদের সাথে যুক্ত থাকতে।

প্রশ্ন: দারুণ- অন্যরাও এই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হতে পারেন যে, নিজের ব্যবসায়ী পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া?
জি এম কামরুল হাসান: বিজনেসটা আসলে অল অ্যাবাউট রিলেশনশিপ। তাই আমরা চেষ্টা করি তাদের সাথে কিভাবে বন্ডিং আরও বাড়ানো যায়? কিভাবে তাদের ভালবাসা আরও বেশি বেশি পাওয়া যায়?

প্রশ্ন: ঈদে কাস্টমারদের বিশেষ কী অফার থাকবে?
জি এম কামরুল হাসান: অফার আছে। আমাদের প্রাইমারি একটি হট নম্বর আছে। এটাকে আমরা হ্যালো ঈগলু বলি। ১৬৫৫৬ এই হট নাম্বারে ঢাকাতে কেউ ফোন করলে বাসায় আমরা দুই ঘণ্টার মধ্যে আইসক্রিম পৌঁছে দেই। কারো ডেজারট লাগে আইসক্রিম লাগে এই নাম্বারে ফোন করতে পারে।

প্রশ্ন: কোন বিশেষ বা বড় অনুষ্ঠান হলে ডেলিভারি করেন আইসক্রিম?
জি এম কামরুল হাসান: বড় বা বিশেষ প্রোগ্রাম তো আছেই। এছাড়া যদি মাত্র দুই শত টাকার অর্ডারও কেউ করেন আমরা আইসক্রিম বাসায় পৌঁছে দেই ঢাকার ভেতরে। এই সার্ভিসটা দিচ্ছি এবং মানুষের রেসপন্সও খুব ভাল। আমাদের কোন বাধ্যবাধকতা নাই যে, ৪০০/৫০০ টাকার অর্ডার করতেই হবে। যেকোন টাকার অর্ডার করলেই আমরা বাসায় ডেলিভারি দেই।

প্রশ্ন: টুয়েন্টি ফোর আওয়ারস?
জি এম কামরুল হাসান: না। সকাল দশটা থেকে রাত আটটার মধ্যে যেকোন সময়ে অর্ডার আইসক্রিম বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন: আর কী থাকছে ঈদের জন্যে বিশেষ?
জি এম কামরুল হাসান: ঈদকে সামনে রেখে আমরা বড় সেলিব্রেশন প্যাক লঞ্চ করছি। সেটা হলো ৫ লিটার বিগ প্যাক। বাসায় যখন ঈদের গ্যাদারিং হয় তখন অনেক মানুষ হয়- ইটস এ ভেরি প্রিমিয়াম আইসক্রিম উই আর লঞ্চিং এবং সেলিব্রেশন প্যাকটা যদি কেউ অর্ডার করে তাহলে আমরা প্যাকেজটি বাসায় পৌঁছে দেই।

প্রশ্ন: ৫ লিটার এক সাথে নিলে আনুপাতিক হারে দামও একটু কম পড়বে কি?
জি এম কামরুল হাসান: প্রাইস ইজ ভেরি রিজনেবল এর সাথে আমরা কোল্ড বিস্কিট ফ্রি দিচ্ছি যাতে করে সহজে পরিবেশন করা যায়।

প্রশ্ন: আইসক্রিম পার্লারে গিয়ে খাওয়ার যে ফিলিংস এবং বাচ্চারা এটি বেশ পছন্দ করবে?
জি এম কামরুল হাসান: অবজেক্ট ইজ ভেরি সিম্পল উই ওয়ান্ট টু টেক দ্য আইসক্রিম পার্লার ইন দেয়ার হোম। বাইরে গিয়ে ট্রাফিক জ্যামে বসে তারপর আইসক্রিম পার্লারে যাবে? সো উই আর হেয়ার টু সারভ দ্যাট ইউও হোম সো পার্লার আইসক্রিম অ্যাট ইউও হোম- এটিই আমাদের বেসিক অবজেক্টিভ।