বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এখন লাখো পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটাতে সাগর সৈকতে ভিড় করছে লাখো পর্যটক।
সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছে আগত পর্যটকরা। থেমে থেমে চলা বৃষ্টি আগত পর্যটকদের উচ্ছ্বাস কমাতে পারছে না কিছুতেই। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। বৈরী আবহাওয়া আর থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
দীর্ঘদিন প্রচণ্ড গরম থাকার পর এ বৃষ্টি পর্যটকের তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। বরং এ বৃষ্টিতে আবার অনেকে বাড়তি আনন্দও পাচ্ছে। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরও পর্যটকে মুখরিত।
নগর জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে নীল সাগরের সুনীল জলরাশিতে অবিরত ঢেউ এর মাঝে বাধভাঙ্গা আনন্দে মেতেছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তাদের উল্লাসে যেন মুখরিত বিশ্বের দ্বীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
কক্সবাজার ঘুরতে আসা পর্যটক রাশেদ, মনিকা, সোহাগ ও শিল্পী রানী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজার এসে খুব ভালো লাগছে। বৃষ্টি আর সাগর আমাদের একাকার করে দিচ্ছে। ঈদকে খুব উপভোগ করছি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ইকবাল হোসাইন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের প্রতিটি পর্যটন স্পটে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন: কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউজে ৩ লক্ষাধিক পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি ৩টি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফ গার্ড কর্মী নিয়োজিত আছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আগত পর্যটকদের হয়রানি রোধে তিনটি ভ্রাম্যমান আদালতের টিম সৈকত ও আশপাশের এলাকায় কাজ করছে।