চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় রেল যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়?

এবারের ঈদে ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকার মানুষ তাদের স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যেতে পারবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও বাংলাদেশ রেলওয়ে নতুন বগি সংযোজনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় প্রতিবারের মত এবারও হাজারো মানুষ ট্রেনযাত্রায় পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।

ঈদযাত্রার প্রথম দিনে সকালের ট্রেনের জন্য সেহেরি খেয়ে স্টেশনে বসে থাকলেও সকালের ট্রেন বেলা দশটা এগারোটায়ও স্টেশন ছেড়ে যেতে পারেনি শিডিউল বিপর্যয়ের জন্য।

প্রথম দিনই বেশ কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে গরমের মধ্যে যাত্রীদের পড়তে হয়েছে অপেক্ষা আর অশেষ কষ্টের ভেতর। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সোয়া দুই ঘণ্টা, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা ১০ মিনিট, চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট, কিশোরগঞ্জগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা এবং সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা দেরি করে স্টেশন ছেড়ে গেছে। রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় রওনা হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ২টা ৪০ মিনিটে সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ময়মনসিংহগামী ঈশাখা এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১১টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সাড়ে ১২টার পর্যন্ত ট্রেন দুটি স্টেশন ছেড়ে যায়নি।

রেল কর্মকর্তারা জানান: বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৬টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেলেও সাতটি ট্রেনের যাত্রা বিলম্বিত হয়েছে কয়েক ঘণ্টা করে।

রেলমন্ত্রী কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে যাত্রী সাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন: আগামীকাল থেকে আর কোনো ট্রেন বিলম্বে ছাড়বে না। যে কয়টি ট্রেন আজ দেরি করে ছেড়েছে, সেগুলোর দিকে আলাদা নজর দিয়ে নির্ধারিত সময়ে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হবে। রংপুর এক্সপ্রেস সোয়া সাত ঘণ্টা লেইট হয়ে আছে। আগামীকাল নতুন একটি ট্রেন রংপুর থেকে ছেড়ে এই সময়ের গ্যাপ পূরণ করা হবে। তিনি এও বলেছেন যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য ট্রেনের শিডিউল বিঘ্নিত হয়েছে। কিন্তু কোথায় এতবড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটল আমরা জানতে পারিনি।

আমরা আশা করি এবারের ঈদে সড়কপথের মত রেলপথ নৌপথও যাত্রীদের জন্য নির্বিঘ্ন হবে। সড়কপথের উন্নয়নের সুফল এবার জনগন পেয়েছে যা ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যেহেতু রেলপথে দেশের অধিকাংশ মানুষ দূরদূরান্তে তাদের গন্তব্যে যায় সেহেতু রেলযাত্রাকে আরও গতিশীল করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টা করবে সরকার। আমরা এই কামনা করি।