বাংলাদেশ দল যখন হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমেছে, ইমরুল কায়েস তখন মিরপুরের জিমনেশিয়ামে। ঊরুর চোট থেকে মুক্তি পেতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। আর জিমের টেলিভিশনের পর্দায় বারবার চোখ আটকে যাচ্ছে তার। চোটে না পড়লে থাকতে পারতেন একাদশেই।
ভারতের মাটিতে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে বাংলাদেশ প্রথমবার টেস্ট খেলতে নেমেছে। এমন ম্যাচে দলে থাকতে না পারার আফসোস হয়তো তাড়িয়ে ফিরছে ইমরুলকে। হতাশ হয়ে থেমে যাওয়ারও সুযোগ নেই তার। মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে পূর্নাঙ্গ সিরিজ বাংলাদেশের। তার আগেই ফিট হতে হবে এই বাঁহাতি ওপেনারকে।
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সকল ধাপ শেষ করে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠতে এই বাঁহাতির অবশ্য আরও তিন সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। বিসিবির মেডিকেল বিভাগের একটি সূত্র চ্যানেল আই অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
ঠিক এক সপ্তাহ পর নেটে ব্যাটিং শুরু করবেন ইমরুল। আগামী ৩ থেকে ৪ দিন জিমে ফিটনেস নিয়ে হালকা প্ররিশ্রম করবেন তিনি। এরপর সাইক্লিং, রানিং। সবশেষে ব্যাটিং।
ফিটনেসের উন্নতি প্রত্যাশা অনুযায়ী এগোলে বিসিএলের শেষ দুটি রাউন্ডেও খেলার সম্ভাবনা আছে ইমরুলের। যদি উন্নতির গ্রাফটা দ্রুত হয়, তাতে হয়তো পঞ্চম রাউন্ডেই দেখা যাবে তাকে। বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ড শুরু হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। আর ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ড মাঠে গড়াবে ৪ মার্চ।
নিউজিল্যান্ড থেকে ঊরুর চোট নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন ইমরুল। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থেকে কিছুটা উন্নতি হলে দলের সঙ্গে ভারত সফরে যান তিনি। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংও করেন। পরে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ঊরুতে আবারো চোট পেলে দেশে ফিরে আসতে হয় এই ওপেনারকে। ইমরুলের বদলি হিসেবে ভারতে উড়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।