করোনাকালে সব আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে বৈশ্বিক কৃষি বাণিজ্য শুধু সক্ষমতারই পরিচয় দেয়নি, গত তিন মাসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ছড়িয়ে পড়ার শুরুর দিকে দেশের কৃষি বাণিজ্য ও রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় গেলেও জুন থেকে আবারো ইতিবাচক ধারায়। তবে, কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাজার ব্যবস্থা জোরালো পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
মহামারি করোনা ছড়িয়ে পড়ার শুরুতে আশঙ্কা করা হয়েছিলো অন্য খাতের মতো কৃষি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সেই আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
গত তিনমাসে বৈশ্বিক কৃষি বাণিজ্য আশঙ্কার বিপরীতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে, যদিও তার প্রবৃদ্ধি ২০১৯ সালের এ সময়ের চেয়ে কম।
বিআইডিস মহাপরিচালক কেএস মুরশিদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার মোটামুটি সচল, এবং করোনা মহামারির কারণে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যঘাত ঘটতে পারে বলে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল তা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, যদি কৃষি মজুদ যথেষ্ট পরিমাণে রাখা যায় তাহলে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর পর্যন্ত আমরা ঠিক ভাবে অতিক্রম করতে পারবো।
সিপিডি গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, খাদ্য শস্যের মজুদ বাড়ছে, বিশেষ করে চাল, গম, ভুট্টা এগুলার মজুদ বৃদ্ধি হচ্ছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ১৬ থেকে ১৭ টি কৃষি পণ্যের মূল্যের একটা উর্ধমুখী প্রবণতা রয়েছে।
আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, সরকারকে আগামী সময়ের ফসল উৎপাদনের জন্য অপেক্ষা না করে,আমদানি বৃদ্ধি করা দরকার।
দেশীয় কৃষি বাণিজ্য ও রপ্তানি কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার প্রথমদিকে উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। জুন থেকে আবারও বাড়ছে কৃষি পণ্য রপ্তানি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে কৃষি পণ্য উৎপাদন বাড়ালে কৃষি বাণিজ্য সামনে আরো বাড়বে।