প্রতি বছরের মতো এবারও ভাষার মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে বসছে আমার ভাষার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজনে দেখানো হবে নতুন পুরনো বেশকিছু আলোচিত ও কালজয়ী বাংলা ছবি।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা ভাষা সৈনিকদের স্মরণে বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজন করে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র’ শীর্ষক চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সর্ববৃহৎ আসর বলা হয় এই আসরটিকে। যার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস এবং সমসাময়িক বাংলা চলচ্চিত্র কে তুলে ধরা হয় সাধারণ দর্শকের দ্বারপ্রান্তে।
তারই ধারাবাহিকতায় এই আসরে এবার দেখানো হচ্ছে গেল বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত বেশকিছু আলোচিত চলচ্চিত্রসহ কালজয়ী কিছু বাংলা ছবিও।
এরমধ্যে অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’, নূর ইমরান মিঠুর ‘কমলা রকেট’, রায়হান রাফীর ‘দহন’, আসিফ ইসলাম ও ফয়সাল রদ্দির ‘পাঠশালা’, বিজন ইমতিয়াজের ‘মাটির প্রজার দেশে’ ও গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ যেমন আছে তেমনি সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি নির্মাতা আমজাদ হোসেনের কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘ভাত দে’ এবং সাইদুল আনাম টুটুল পরিচালিত প্রশংসিত ছবি ‘আধিয়ার’ ও আছে।
বাংলা চলচ্চিত্রের চার কৃতি নির্মাতা মৃণাল সেনের ‘আকালের সন্ধান’, সত্যজিত রায়ের ‘চারুলতা’, ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ এবং জহির রায়হানের ‘আনোয়ারা’ও এই উৎসবে দেখানো হবে।
এছাড়া তালিকায় আছে তানভীর মোকাম্মেলের ‘নদীর নাম মধুমতি’, মাসুম আজিজের ‘সনাতন গল্প’, প্রসূন রহমানের ‘জন্মভূমি’ ও কলকাতার প্রদিপ্ত ভট্টাচার্যর ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’ ছবিগুলো।
চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে সম্প্রতি হয়ে গেল সংবাদ সম্মেলন। সেখানে জানানো হয়, ১০ই ফেব্রুয়ারি উৎসবের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া ১৩ই ফ্রেব্রুয়ারি তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদসহ বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পূর্ববর্তী বছরের শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্রকে প্রদান করা হবে ‘হীরালাল সেন পদক’।
১৫ই ফেব্রুয়ারি ‘চলচ্চিত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার পরবর্তী চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এই উৎসবের।