চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

আমির আগুনে পুড়ছে পিসিবি

মোহাম্মদ আমির থাকায় পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেননি অধিনায়ক আজহার আলী ও মোহাম্মদ হাফিজ।

দলের সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকারদের কেউ আমিরকে দলে ফেরানোর পক্ষে থাকলেও অনেকেই এর বিরোধীতা করছেন। আর এই নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে শুরু হয়েছে অশান্তির আগুন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

২০১০ সালে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন এই পেসার। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে ভাল খেলায় নির্বাচকদের নজর কাড়েন তিনি। তবে ওই সময়ই আমির দলে থাকায় চিটাগং ভাইকিংসে খেলেন নি মোহাম্মদ হাফিজ। পরে তিনি ঢাকা ডাইনামাইটসে খেলেন।

আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফর সামনে রেখে লাহোরে ২৬ জনকে নিয়ে পাকিস্তান দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে ২১ শে ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার আজহার ও হাফিজের যোগ দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ম্যানেজার আগা আকবর জানান, তারা যোগ দেননি। আজহার সরাসরিই বলেছেন, আমির যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ তিনি ক্যাম্পে যোগ দেবেন না। প্রয়োজনে পিসিবির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। হাফিজও একই কারণে ক্যাম্পে যোগ দেন নি।

আমিরের ফেরা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করায় আজহার-হাফিজকে পিসিবির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লাগতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শাহারিয়ার খান।

তবে আজহার-হাফিজ বিরোধীতা করলেও আমিরকে জাতীয় দলে ফেরানোর যুক্তি দেখিয়ে বিবৃতি দিয়েছে খোদ পিসিবি। এতে আগামী মাসে নিউজিল্যান্ড সফরেই তার জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

নিউজিল্যান্ড সফরে আমিরের ফেরার সম্ভাবনা না দেখলেও অনেকে মনে করেছিলেন, আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তান দলে ডাক পাবেন তিনি। কিন্তু পিসিবি’র বিবৃতিতে মনে হচ্ছে, নিউজিল্যান্ড সফরেই ডাক পাবেন ২৩ বছর বয়সী আমির।

পিবিসি জানিয়েছে, ‘নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ইতিমধ্যে সে ঘরোয়া কয়েকটি ম্যাচে নিজেকে প্রমাণ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লীগেও (বিপিএল) আমির দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনুশীলন করছে সে। এখন তাকে জাতীয় দলে ডাকা যেতেই পারে। তবে বিষয়টি নির্বাচকমণ্ডলীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।’

মোহাম্মদ আমিরকে জাতীয় দলে ফেরানোর ব্যাপারে কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার বিরোধিতা করেছেন।

সাবেকদের মধ্যে রমিজ রাজা বিরোধিতা করে বলেন, আমির দলে ফিরলে ড্রেসিং রুমের অবস্থা গুমট হয়ে যাবে। সে নিজেও চাপে থাকবে এবং অন্যদেরও চাপে রাখবে।’

অন্যদিকে বর্তমানে জাতীয় দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ জানিয়েছেন, স্পট ফিক্সিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে একই দলে তিনি খেলবেন না।

তবে ভিন্ন চিন্তা পিসিবির। বিবৃতিতে যুক্তি দিয়ে তারা বলেছে, ‘কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকর আমিরের দলে ফেরানোর বিরোধিতা করছে। কিন্তু আমরা মনে করি, সেটা অতীত। স্পট ফিঙিং ও মাদক গ্রহণ করে ধরা খাওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফেরার অনেক ঘটনা আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস, দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস ও যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রিন্টার টাইসন গে তার বড় উদাহরণ।’

ওয়াসিম আকরাম ও ইনজামাম উল হকরা আমিরের প্রত্যাবর্তনকে ইতিবাচক দেখছেন। জাতীয় দলের কোচ ওয়াকার ইউনুস ও পিসিবির প্রধান শাহরিয়ার খানও আমিরকে দলে ফেরানোর পক্ষে।

পিসিবি প্রধান ইতিমধ্যে আমিরকে ডেকে কথা বলেছেন। তাকে সংযত আচরণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সব মিলে পাকিস্তান ক্রিকেটে বোর্ডে অশান্তির আগুন জ্বলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।